স্পোর্টস ডেস্ক: দেশের হয়ে খেলা সবচেয়ে বড় সুভাগ্য এক জন অ্যাথলেটিকের জন্য। তবে মাঝে মাঝে ঘটে ভিন্ন কিছু। তার কোনো নেই কোনো দেশ। তিনি দেশ-পরিচয়হীন কিছু মানুষ। পৃথিবী জানে তারা শরণার্থী।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছে। অলিম্পিকই তাদের দেশ, তাদের পরিচয়। অলিম্পিক দল হিসেবেই তারা অংশ নিয়েছে এবারের টোকিও অলিম্পিক গেমসে।
গতবারের মত এবারও, টোকিও গেমসে এমন একটি দল গড়া হয়েছে, যে দলের হয়ে বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। আর সেই দলের হয়েই ইরানের বাসিন্দা এক শরণার্থী আলিজাদে ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে।
আর মাত্র একটি জয় পেলেই শরণার্থী দল অলিম্পিক ইতিহাসে তাদের প্রথম পদক অর্জন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। সেই ইতিহাস সৃষ্টি হতে পারে টোকিও গেমসে তায়কোয়ান্দোর এক শরণার্থী প্রতিযোগীর হাত ধরে।
টানা তিন ম্যাচে অসাধারণ জয় পেয়েছেন ইরানের শরণার্থী কিমিয়া আলিজাদে। আজকের দিনের সবচেয়ে বড় অঘটনটাও ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি। শেষ ষোলোয় দুবারের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী জেড জোন্সকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নকে ১৬-১২ ব্যবধানে হারিয়েছেন আলিজাদে।
তায়কোয়ান্দোতে কোয়ার্টার ফাইনালে ৯-৮ ব্যবধানে চীনের ঝু লিজুনকে হারিয়েছেন আলিজাদে। নাটকীয়ভাবে একেবারে শেষ মিনিটে বা বলা ভাল শেষ মুহূর্তে এসে জয়সূচক পয়েন্ট পান তিনি।
এর আগে আলিজাদে ইরানি প্রতিপক্ষ নাহিদ কিয়ানি চানদেকে ১৮-৯ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। আলিজাদে যে ফর্মে রয়েছেন তাতে তার হাত ধরে শরণার্থী অলিম্পিক দল প্রথম পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
২৩ বছর বয়সী আলিজাদে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েন। প্রথম ইরানি নারী হিসেবে অলিম্পিক পদক জেতেন। সেবার তিনি ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন।
সাননিউজ/এএসএম