স্পোর্টস ডেস্ক: মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে অলিম্পিকের মতো আসরেও ভাটা পড়েছে। নেই দর্শক প্রবেশের অনুমতি। কঠোর নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই আসর শুরু হবে। সব মিলিয়ে অলিম্পিকের পুরো আসরটাই অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটের সংখ্যা ১১ হাজার প্লাস। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দেশের অ্যাথলেটরাই মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করে থাকেন। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এটা অন্যতম একটি আকর্ষণ। আয়োজক কর্মকর্তা-কর্মচারি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কলা-কুশলীসহ আরও কয়েক হাজার মানুষ জড়িত থাকেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে। এছাড়া স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুসারে দর্শক তো থাকেনই।
সব মিলিয়ে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে দারুণ জমজমাট। কিন্তু এবার কী হবে? করোনা মহামারির কারণে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে কী পরিকল্পনা আয়োজকদের? এবার কী আগের মত ঝাকজমকপূর্ণ হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান?
উদ্বোধনের আগেই একশোর কাছাকাছি অ্যাথলেট এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ পজিটিভ। কয়েকজনের তো গেমসই শেষ হয়ে গেছে। অথচ এর মধ্যেই ২৩শে জুলাই (শুক্রবার) উদ্বোধন হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু গাইডলাইন তৈরি করেছে আয়োজকরা। অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেয়া হয়েছে। অলিম্পিক প্যারেডের সময় অ্যাথলেটদের উপস্থিতি করা হয়েছে ঐচ্ছিক। কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
করোনার মধ্যেই অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জটাই দেখাচ্ছে আইওসি (ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি)। তবে এবারের অলিম্পিক্ক অন্য সব অলিম্পিকের তুলনায় একটু আলাদাই হতে যাচ্ছে। অনেক বেশি বিধিনিষেধ থাকছে এবারের অলিম্পিকে।
টোকিওতে এখন জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। দৈনিক সংক্রমণ ১৪০০ প্লাস চলছেই। গেমস ভিলেজের ভিতরে এবং বাইরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু অ্যাথলিট।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি যে কোনো ক্রীড়াবিদের কাছে ঐতিহাসিক একটা ঘটনা। এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে চান সবাই। কিন্তু এবারে সেই সুযোগ সবাই পাচ্ছেন না।
করোনার কারণে যে নিয়ম করা হয়েছে, অলিম্পিক প্যারেডের সময় সব অ্যাথলিটই উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে বিষয়টা ঐচ্ছিক। তবে প্রতিটি দেশের মাত্র ৬ জন কর্মকর্তাই অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন জাপানের রাজা নারুহিতো। কিছু বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানের মঞ্চে। প্রতিটি দলের অ্যাথলেট, কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক যে পর্বটা থাকবে, তার শিল্পী, কলা-কুশলীরা উপস্থিত থাকবেন এবং সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে হবে।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরদিনই যাদের ইভেন্ট রয়েছে তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে নিজেদের অনুশীলনে মনোনিবেস করার জন্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে মাঝরাত পর্যন্ত। ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনের পর বিশ্রাম নেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাননিউজ/এএসএম