সান নিউজ ডেস্ক: ইতালির জয়ে শুরু, ট্রফি জয়ে শেষ। মাঝে জায়ান্টদের বিদায়, ডেনমার্ক রূপকথা আর কোকা কোলা কান্ড। কত কিছুরই না সাক্ষি হয়েছে এবারের ইউরো। এবার জানবো শেষ হওয়া ষোলতম আসরের সাতকাহন।
১১ জুন থেকে ১১ জুলাই। রোম থেকে ওয়েম্বলি। ১১ শহর ঘুরে ট্রফির হাতবদল। আনন্দ-বেদনা, পাওয়া, না পাওয়ার অংক মেলাতেই কেটেছে ফুটবল ফ্যানদের দীর্ঘ একমাস। প্রাপ্তির ষোলকলা ইতালির। ৫৩ বছর পর শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার। টুর্নামেন্টজুড়ে অপ্রতিরোধ্য থেকে অপরাজেয়র দৌড়টা ৩৪ ম্যাচে নিয়ে যাওয়া। সবকিছুই আজ্জুরিদের নবজাগরণের প্রমাণ।
বেদনায় নীল হয়েছে ইংল্যান্ড। ইউরোয় প্রথম ফাইনাল খেলেও একটা ট্রফি জয়ের ৫৫ বছরের আক্ষেপ মেটানো হলোনা ইংলিশদের।
তবে হেরেও জয়ী রোনালদো। টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বুট গেছে সি আর সেভেনের দখলে। সঙ্গে লম্বা হয়েছে সুপারস্টারের রেকর্ড টালি। প্রথম ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি আ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর ইউরোর মঞ্চেও হয়েছেন টপ স্কোরার।
চার ম্যাচে গোলশূণ্য থেকে সুপার ফ্লপ কিলিয়ান এমবাপ্পে। সুইসদের সাথে পেনাল্টি মিস করে খলনায়কে রূপ নেন ফরাসিদের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। তবে ৬ বছর পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন রাঙ্গিয়ে রেখেছেন কারিম বেনজেমা।
মনে রাখতে হবে ডেনমার্ক রূপকথাও। ৯২ ইউরো জয়ের পুনরাবৃত্তি করতে না পারলেও সবার মন জয় করেছে ড্যানিশরা। টুর্নামেন্টজুড়ে রেড এন্ড হোয়াইটদের অনুপ্রেরণার নাম ছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। সতীর্থের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সত্যিকারের অধিনায়ক হয়ে দেখিয়েছেন সিমোন কায়ের।
গ্রুপ অব ডেথে রোমাঞ্চ ছড়িয়েও বেশিদূর যাওয়া হয়নি তিন চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল, ফ্রান্স ও জার্মানির। সবাই থেমেছে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। ব্যর্থতার বোঝা নিয়েই জাতীয় দলকে গুডবাই জানিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ জোয়াকিম লো/লুভ ও মিডফিল্ডার টনি ক্রুস।
অফ ফিল্ডে, টক অব দ্যা টুর্নামেন্ট ছিলো কোমল পানীয় কোকা কোলা ও বিয়ার হ্যানিকেইন। রোনালদো-পগবা, লোকাতেল্লিদের বর্জন আর রাশিয়া কোচের পক্ষ নেয়া। সবকিছুই ছিলো চটকদার হেডলাইন।
তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ইংলিশদের অভদ্র আচরণ। টুর্নামেন্টের সাত ম্যাচের ছয়টিই ঘরের মাঠে খেলেছে থ্রি লায়ন্স। যার প্রতিটিতেই হুলিগানদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে অতিথি দলকে। ফুটবলারতো বটেই প্রতিপক্ষের জাতীয় সঙ্গীতের সময়েও দুয়োধ্বনি দিয়ে সমালোচিত ইংলিশ সমর্থকরা।
সান নিউজ/এমএম