স্পোর্টস ডেস্ক: পোস্টের নিচে ক্ষিপ্রতাও প্রায় কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বাফনে মতো। নামের সঙ্গে অর্ধেক মিল রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, অনেকটাই এগিয়ে তিনি। না হয়, ইংলিশ সানচো আর বুকাইয়ো সাকার শট ঠেকিয়ে দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হতো না। এ দুটি শট তিনি ঠেকিয়ে দিয়েছেন, আর তার অ্যাপ্রোচ দেখে মার্কাস রাশফোর্ড বল মেরে দিয়েছেন সাইডবারে। বলছি ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমার কথা।
ইউরো কাপের এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসে নাম তুলেছেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডনারুমা। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি আসরেই ইউরোর টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় গোল্ডেন বল।
পরিসংখ্যান বলছে এই পুরষ্কার দেওয়ার রীতি তৈরি হওয়ার পর থেকে আগের ছয় আসরে কোনও গোলরক্ষকই গোল্ডেন বল হাতে তুলতে পারেননি। এবার সেই প্রথা ভাঙলেন ইতালির ইউরো জয়ের নায়ক ডনারুমা।
টুর্নামেন্টের জুড়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। মেগা ফাইনালে টাইব্রেকারে ফেভারিট ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়ে ইতালিকে ইউরোপ সেরার মুকুট এনে দেওয়ার নায়ক ডনারুমা। ফাইনাল ম্যাচ টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ হলে সেখানে দুটি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন ইতালির এই গোলরক্ষক।
শুধু ফাইনালেই নয়, সেমিফাইনালে আজ্জুরিদের জয়ের নায়কও ছিলেন তিনি। স্পেনের বিপক্ষে সে ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। সেখানেও প্রতিপক্ষের দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও গ্রুপ পর্বে তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড এবং ওয়েলসের বিপক্ষে রেখেছিলেন জাল অক্ষত। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে মাত্র চারটি গোল হজম করেছেন ডনারুমা।
সাননিউজ/এএসএম