স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের ২২ মিনিট। মাথায় দুর্দান্ত এক চিপ শট। ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করে নিজ দলকে এগিয়ে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
ম্যাচের শুরুর দিকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছিলো। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি এবার শুরুর একাদশে ডি মারিয়াকে জায়গা দিয়েছেন। করলেন একমাত্র গোলটা, গড়ে দিলেন ম্যাচের, শিরোপার ভাগ্য; যাতে ঘুচে গেল আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপাখরা!
অথচ এবার ফাইনালে শুরুর একাদশে জায়গাই হতো না তার। যদি না কোচ স্ক্যালোনি ভরসা রাখতেন তার অভিজ্ঞতায়। সেই ভরসার কি দুর্দান্ত প্রতিদানটাই না দিলেন ডি মারিয়া।
এবার সেই এস্তাদিও দে মারাকানার আরও এক ফাইনালে সেই ডি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনা জিতল শিরোপা, তাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে। এমন একটা মঞ্চ যেন পাওনাই ছিল আর্জেন্টিনার অজস্র জয়ের নেপথ্য নায়কের।
চলতি আসরে বেশিরভাগ ম্যাচেই ডি মারিয়া নেমেছেন বদলি হিসেবে। প্রতি ম্যাচেই তার ভূমিকা ছিল দ্বিতীয়ার্ধে নেমে খেলার গতিপথ বদলে দেওয়ার। সেটা তিনি দারুণভাবেই পালন করছিলেন। সেটা এ ম্যাচেও হবে, এমনটাই ধারণা ছিল আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যমের।
কিন্তু ম্যাচে কী হবে সেটা একমাত্র স্ক্যালোনিই জানতেন। বিধাতারও চাওয়া ছিল হয়তো, কে জানে! অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে কোচ তাকেই ফেরালেন প্রথম একাদশে। পরিবর্তন আনলেন ভূমিকায়। তা থেকেই এল গোলটা। ডি মারিয়া বনে গেলেন আর্জেন্টিনার নায়ক।
ডি মারিয়া বলেছেন, ‘এই মুহূর্ত কোনোদিন ভুলতে পারব না। মেসি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমিও ওকে জড়িয়ে ধরেছি। ফাইনালের আগেই বলেছিল, আজকের রাতটা আমার হতে চলেছে। বিশ্বকাপের আগে এই জয় দলের সবাইকে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।
সাননিউজ/এএসএম