স্পোর্টস ডেস্ক: একদিকে যখন স্বপ্নপূণের উল্লাস। অন্যদিকে কান্না আর হতাশায় ঘিরে থাকা মুহূর্ত। রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা মনে হয় এমনই কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়। লিওনেল মেসি যখন ট্রফি হাতে নেওয়ার অপেক্ষায় উল্লাসে ব্যস্ত। ঠিক তখনই কাঁদছেন নেইমার। তার চোখের কোনায় জল। জার্সি টেনে এনে হতাশায় মুখ ঢাকলেন, চোখের জল লুকালেন। একটা শিরোপার আশা ছিল তার। চেয়ে ছিলেন কোপা আমেরিকার ট্রফিটা জিততে।
কিন্তু মঞ্চটা যে সৃষ্টিকর্তার হাতে। হয়তো তিনি লিখে রেখেছিলেন মেসির জন্য। বুক ভরা হতাশা নিয়েই তাই থামতে হয়েছে নেইমারকে। তবে মাঠে তিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। সতীর্থদের উৎসাহ যুগিয়েছেন, সমর্থকদের বলেছেন তাদের সমর্থনের মাত্রাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে।
কিন্তু এতকিছুর পরও আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেননি। ২০১৪ বিশ্বকাপে এমন এক ইনজুরিতে পড়েছিলেন। মাসের পর মাস বাইরে থেকেছেন মাঠের। ওই টুর্নামেন্টে ভরাডুবি হয়েছে তার দলেরও। গত বারের গল্পটা তো আরও হতাশার।
দল কোপা আমেরিকা জিতেছে। অথচ নেইমার কি না খেলতে পারেননি ইনজুরির জন্য। আগের মেসির মতো তাই কাঁদতে হলো তারও। এই কান্না নিশ্চয়ই একদিন রূপ নেবে হাসিতে। ট্রফিটা উঠবে নেইমারের হাতে। এমন প্রত্যাশা অন্তত সমর্থকদের।
পুরস্কার বিতরণের পর দেখা গেলো আরও একটি মধুর দৃশ্য। মেসি এবং নেইমার দু’জনই মিশে গেলেন একই রঙে। দু’জনের কারো গায়ে ছিল না কোনো জার্সি। জার্সি খুলে পাশাপাশি বসে ছবি তুললেন তারা দু’জন। হয়তো এমন ভালোবাসায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তারা।
সাননিউজ/এএসএম