স্পোর্টস ডেস্ক: তারা দুই বন্ধু লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র। এফসি বার্সেলোনার সাজ ঘরে রয়েছে কিছু সময় কাটানোর স্মৃতি। কিন্তু আগামী বাংলাদেশ সময় রোববার সাবেক এই দুই সতীর্থ পরস্পরের মোকাবেলায় নামতে যাচ্ছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি দলের হয়ে।
এদিন বাংলাদেশ সময় ভোর ৬ টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনার মোকাবেলায় নামবে নেইমারের ব্রাজিল।
ওই ম্যাচ দিয়েই প্রথমবারের মত কোপা আমেরিকা জয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে চান মেসি ও নেইমার উভয়ই। এটি খুবই করুন খবর যে দুই বিশ্বসেরা ফুটবল তারকার অসাধারণ ক্যারিয়ার থাকলেও কেউই এখনো পর্যন্ত কোপা আমেরিকার শিরোপা হাতে তুলতে পারেননি।
আর সেই দুঃখ ঘোচাতেই কোপার ফাইনাল খেলতে মাঠে নামতে যাচ্ছেন পেলে ও ম্যারাডোনার পর দুই দেশের প্রতিনিধিত্বকারী হালের দুই ফুটবল নক্ষত্র।
কিছুটা ফেভারিট তকমা নিয়েই এই আসরে পদার্পন করেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। কারণ নিজ দেশের টুর্নামেন্ট হিসেবে তাদের বাড়তি সুবিধা থাকার কথা টুর্নামেন্ট। তবে মারাকানায় আর্জেন্টিনাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগই নেই ব্রাজিলের।
মেসি সব সময় তাদের জন্য হুমকি। যদিও বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে কিছুটা খোলসবন্দী হয়ে যেতে দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অনেকেই তাই মেসিকে ‘চোকার’ ও বলে থাকেন।
ক্লাব পর্যায়ের ফুটবলে দক্ষতার শতভাগ প্রতিফলন ঘটাতে পারলেও ছয় বারের ব্যালন ডি’ অর খেতাব জয়ী মেসি এখনো পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে কোন বড় ট্রফিই জয় করতে পারেননি। তবে এখনো জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জয়ের আশা ছাড়েননি মেসি।
যেহেতু তিনি ক্যারিয়ারের শেষ কোপা আমেরিকা খেলতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই আসন্ন ফাইনালে তার মধ্যে থাকবে বাড়তি অনুপ্রেরণা। অবশ্য আগামী বছর কাতার বিশ্বকাপেও ৩৪ বছর বয়সি মেসির আর্জেন্টিনার হয়ে অংশগ্রহনের কথা রয়েছে। কিন্তু ততদিনে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে মেসি যে প্রথম খেলতে যাচ্ছেন তা কিন্তু নয়। এর আগে ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ আসরের ফাইনালেও খেলার সুযোগ হয়েছে মেসির। কিন্তু প্রতিবারেই পরাজিত হয়েছেন। এমনকি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি মেসির।
এদিকে মেসিকে থামিয়ে দেয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্রাজিল। সেই সঙ্গে মহাদেশীয় ট্রফিটিকেও রেখে দিতে চায় স্বাগতিকরা। আর সুযোগটি নেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন নেইমারও। কারণ দুই বছর আগে শিরোপা জয়ী ব্রাজিলীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি ইনজুরিতে থাকা নেইমার। ফলে শিরোপাটিও জয় করা হয়নি নেইমারের।
সেই দিক বিবেচনায় আসন্ন ফাইনালটি দুই জনের জন্যও বিশাল এক মর্যাদা আদায়ের ম্যাচ। এটি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি দুই মহাতারকারও বড় একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
কোপায় দুই দলের হেড টু হেড লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলকে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ জয়লাভ করেছিল ১৯৩৭ সালে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২০০৪ ও ২০০৭ সালে দুটি বড় জয় রয়েছে ব্রাজিল।
সাননিউজ/এএসএম