ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তদের ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা প্রীতি নতুন কিছু নয়। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার মতো আসরগুলোকে ঘিরে তাদের ভক্তি পরিণত হয় উন্মাদনায়। যার পরিনামে প্রায়ই বাধে সংঘর্ষ।
বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ভক্তদের সবশেষ সংঘর্ষের খবর গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে আর্জেন্টিনার পত্রিকা বুয়েনোস আইরেস টাইমস।
এএফপির বরাত দিয়ে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিতার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই যুবকের ফুটবল সমর্থন নিয়ে বিতণ্ডা গড়ায় সংঘর্ষে। ভক্তরা খালি হাত ও লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।’
রোববার কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিয়ে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে এমনটা বলা হয় প্রতিবেদনে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসীকে বলেছি বড় পর্দায় খেলা দেখা যাবে না। তাদের কাছে আমরা গিয়েছি ও অনুরোধ করেছি ফাইনালের সময় কোনো জমায়েত যেন তারা না করেন।’
বুয়েনোস আইরেস টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্রিকেটপ্রেমী দেশ হলেও বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার সময় ফুটবল ফ্যানদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় ও দেশের শহরগুলো ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যায়।
এছাড়া ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙ্গানোর সময় মেসি ভক্তের মৃত্যুর খবর পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিবেদনটি।
মঙ্গলবার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলায় চারজন আহত হন।
ওইদিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নওয়াব মিয়া, জাকির মিয়া, সেলিম ও সৈয়দাবুর রহমান।
স্থানীয় লোকজন জানান, কোপা আমেরিকা ফুটবল কাপের সেমিফাইনালে মঙ্গলবার সকালে পেরুকে ১-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। এ নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামচাইল গ্রামের ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে একই এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবন মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জেরে বিকেলে রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে একা পেয়ে আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবন মিয়াসহ ৪-৫ মারধর করে পালিয়ে যায়। নওয়াবকে পরে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওই ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওয়াবের ছেলে আরমানসহ ব্রাজিল সমর্থক আলী হোসেন ও ইসহাক মিয়া আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবনের চাচাতো ভাই সেলিমসহ সৈয়দাবুর রহমান ও জাকির মিয়াকে বাজারে পেয়ে মারধর করেন।
সান নিউজ/এসএম