ক্রীড়া ডেস্ক: গত কয়েক দিনে টোকিও-তে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। অলিম্পিকে যোগ দিতে যাওয়া বেশকিছু খেলোয়াড়েরও করোনা ধরা পড়েছে। ফলে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী। টোকিও শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। লকডাউন না হলেও নাগরিকের চলাফেরায় রাশ টানা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টোকিও-তে অলিম্পিক স্টেডিয়ামেও যেতে পারবেন না কোনো দর্শক। আগে ঠিক হয়েছিল, ৫০ শতাংশ দর্শক খেলা দেখতে যেতে পারবেন।
তবে বিদেশি দর্শকরা আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল জাপান। বৃহস্পতিবার জাপান অলিম্পিকের প্রধান কর্মকর্তা সেইকো হাসিমোতো জানিয়েছেন, অলিম্পিক হলেও তা খুব সীমাবদ্ধ ভাবে আয়োজন করা হবে। করোনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত তাদের নিতেই হয়েছে।
টোকিও-তে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অলিম্পিক হলেও পার্শ্ববর্তী ফুকুশিমা, মিয়াগি এবং শিজুওকায় এখনো অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা হয়নি। ফলে সেখানে এখনো ৫০ শতাংশ দর্শক স্টেডিয়ামে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছন অলিম্পিক কর্মকর্তারা। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে যেতে পারবেন। তবে প্যারা অলিম্পিকের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম বজায় থাকবে কি না, তা স্থির হবে ৮ অগাস্ট অলিম্পিক শেষ হওয়ার পরে। আগামী ২৩ জুলাই অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা।
গত বছরেই জাপানে অলিম্পিকের আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ বছরও অলিম্পিক হবে কি না, তা নিয়ে বহু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। জাপানের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধী ছিলেন।
জাপানের নাগরিক সমাজের একাংশও অলিম্পিকের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত জাপান সিদ্ধান্ত নেয়, অলিম্পিক হবে, তবে নিয়মের কড়াকড়ি থাকবে। অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত সকলকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও টোকিওতে সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকানো যায়নি। এই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সান নিউজ/এমএম