স্পোর্টস ডেস্ক: তখনো ম্যাচের শেষ হয়নি। শেষ বাঁশি বাজাননি রেফারি। তবে ঘড়ির কাটা কেন জানি বার বার বলছে শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ৯০ মিনিট শেষে খেলা হয়ে গেছে আরও ছয় মিনিটের বেশি। এমন সময় বল সাইডলাইনের বাইরে। ইতালির পক্ষে গোল কিক। গোলরক্ষক ডোনারুম্মা উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন তখনই। ছুটে যেতে চাইলেন গ্যালারির দিকে। যেন বুঝাতে চাইলেন উল্লাসটা তো আমাদের এভাবেই করা উচিত!
রবার্তো মানচিনির অধীনে রীতিমতো উড়ছে ইতালি। তাদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা এমনিতেও বড় ছিল বেলজিয়ামের। লড়াইটাও হলো বেশ, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠল ম্যাচ। তবে শেষ অবধি ইতালির সঙ্গে পেরে উঠেনি বেলজিয়ানরা। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে এবারের ইউরো বিদায় নিয়েছে তারা।
শনিবার রাতের খেলায় প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। পরে বিরতির মিনিট খানেক আগে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইতালি। সেখান থেকে এক গোল শোধ দিলেও জয়ের দেখা পায়নি বেলজিয়ানরা!
পুরো ইউরোজুড়ে দেখানো নিজেদের ছন্দ এই ম্যাচেও ধরে রাখে ইতালি। জবাবে কেভিন ডি ব্রুইনাকে কেন্দ্র করে বেলজিয়ামের কাউন্টার অ্যাটাকও চলে সমানতালে। ১৩ মিনিটের সময় বেলজিয়ামের জালে বল জড়ায় ইতালি। কিন্তু সেই গোল ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে ডি ব্রুইনার নেওয়া শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন ইতালি গোলরক্ষক ডোনারুম্মা। ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। আজ্জুরিদের আক্রমণ ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেনি তারা। এরপর ভেরতোগান বল বাড়িয়ে দেন ভেরোত্তির দিকে। দারুণ দক্ষতায় ওই বল জালে জড়ান তিনি।
১৩ মিনিট পর একক দক্ষতায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লরেঞ্জ ইনসেনিয়ে। ডি বক্সের বাইরে থেকে আনচ্যালেঞ্জড অবস্থায় শট নেন তিনি। যেটা সমর্থ হয় বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়াকে ফাঁকি দিতে। কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ে বেলজিয়াম।
তবে সেটা থাকে কেবল এক মিনিট। ডি বক্সের ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ডি লরেঞ্জ ফাউল করেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডোকুকে। পেনাল্টি পেয়ে যায় রবার্তো মার্তিনেজের দল। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি রোমেলো লুকাকো।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতি যায় আজ্জুরিরা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পায় বেলজিয়াম। কিন্তু সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি বেলজিয়াম। বিদায়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
সাননিউজ/এএসএম