ক্রীড়া ডেস্ক : বুখারেস্টের ন্যাশনাল এরেনায় সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যকার খেলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। টাইব্রেকারের থ্রিলারে হেরে যাচ্ছে বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স। ঠিক একই সময়ে গ্যালারিতে চলছিল অন্য এক কাহিনী।
ফ্রান্সের দুই ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপের বাবা এবং আরেক মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন র্যাবিওটের মা খেলা দেখছিলেন গ্যালারিতে বসে। এ সময় হঠাৎই দুইজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। যা এখন রীতিমত আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আদ্রিয়ান র্যাবিওটের মা ভেরোনিক র্যাবিওট, যিনি আবার আদ্রিয়ানের এজেন্টও বটে। তিনি কিলিয়ান এমবাপের বাবা উইলফ্রেড এমবাপেকে বেশ উত্তেজিত গলায় বলছিলেন, যেন তিনি তার ছেলের সঙ্গে কথা বলেন এবং আর কোনোদিনও যেন ফ্রান্সের হয়ে সে (এমবাপে) না খেলে। ভেরোনিক র্যাবিওট নিজেই তখন জানিয়েছেন, খুবই রেগে আছেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্র ইএসপিএনকে জানাচ্ছেন, ছেলের সম্পর্কে এমন সমালোচনা সহ্য হয়নি উইলফ্রেড এমবাপেরও। তিনিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়নি। শুধু তাই নয়, দুইজনের ঝগড়া এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় বেশ জোর গলায় হওয়ায় অনেক দুর থেকেও শোনা যাচ্ছিল।
তবে সেদিন শুধুমাত্র এমবাপের বাবার সঙ্গেই নয়, মিসেস র্যাবিওট ঝগড়া লেগেছিলেন পল পগবার পরিবারের সঙ্গেও। ৯১ মিনিটে যখন সুইজারল্যান্ড তৃতীয় গোল দিয়ে ফেলেছিল, ওই সময় পল পগবা একটি বল হারান। যার ফলে বলটি পেয়ে যায় সুইসরা এবং গোল দিয়ে সমতায় ফেরে।
এরপরই পল পগবার নামে আজেবাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন মিসেস র্যাবিওট। পগবার ভাই বসা ছিলেন গ্যালারিতে। তিনি মিসেস র্যাবিওটের কথার উত্তর দেন এবং এক পর্যায়ে তা ঝগড়ায় রূপ নেয়।
সূত্র জানায়, ঝগড়ার মত এই নোংরা কাজগুলো হয়েছে ফ্রান্সের অন্য খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের সামনে। এমনকি ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমও পুরো বিষয়টা লক্ষ্য করেন।
সাননিউজ/এমএইচ