ক্রীড়া প্রতিবেদক : মোহাম্মদ আশরাফুল। সাবেক টাইগার অধিপতি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলছেন শেখ জামালের হয়ে। তবে এবারের মৌসুমটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না তার । সমর্থকরা তার ব্যাটের দিকে চেয়ে তৃপ্ত হতে পারছে না। মাঝে একাদশে জায়গাও হারাতে হয়েছে তাকে।
অবশ্য বুধবার (২৩ জুন) আশরাফুলের ব্যাটে ভর করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে তিনি খেলেছেন অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে। ৩৮ রান করতে খেলেছেন ৪২টি বল ।
সুপার লিগের ম্যাচে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় মুখোমুখি হয় মোহামেডান ও শেখ জামাল। এ ম্যাচে টস জিতে সাদাকালোদের আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংস শুরু করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার আব্দুল মাজিদ, ফেরেন মাত্র ১ রানে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে ইনিংস বড় করতে পারেননি ইরফান শুক্কুর। ১৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামসুর রহমান। তবে ধীর গতিতে রান তোলেন দুজনই। ইমন ৩৫ বলে ৪৬ ও শামসুর ৪০ বলে ৪৯ রান করে আউট হলে এবাদত হোসেন ও জিয়াউর রহমানের বোলিং তোপে মোহামেডানের আর কোনও ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। শেখ জামালের হয়ে এবাদত ও জিয়াউর ৩টি করে উইকেট নেন।
১৩৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ইনিংসের শুরুর ওভারেই আউট হয়ে যান শেখ জামালের ওপেনার সৈকত আলী। এরপর আশরাফুল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ৫৫ রানের পার্টনারশিপে জয়ের ভিত শক্ত হয় ধানমন্ডির জায়ান্টদের। ইমরুল ২৫ রান করে আউত হওয়ার পর ৩৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন আশরাফুল। ৪২ বলের ইনিংসটি সাজান ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
পরে তানভীর হায়দারের ১৭ বলে ৩২ ও সোহানের অপরাজিত ৩১ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৭ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। এই জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
সাননিউজ/এমএইচ