ক্রীড়া প্রকিবেদক:
করোনার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে ফুটবলসহ সব রকমের খেলা। কবে মাঠে বল গড়াবে তার নাই ঠিক। আর তাই জাপানি ফুটবলাররা দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
আজ ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে চার্টার্ড বিমানে করে তিন জাপানি বাংলাদেশ ছাড়ছেন।
এরা হলেন শেখ জামালের ইউসুকে কাতো, মোহামেডানের উরু নাগাতা ও মুক্তিযোদ্ধার নোরিকো হাসিগুচি। তিনজনই মাঝমাঠের খেলোয়াড়। নিজ নিজ ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতার পর তারা ঢাকা ছাড়ছেন।
শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন চুন্নু বলেছেন, আমরা সব বিদেশি খেলোয়াড়কে সমঝোতার মাধ্যমে ছেড়ে দিচ্ছি। জাপানের কাতো বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবে। বাকিরা বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেই ঢাকা ছাড়বে।
সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে রাখলেন, বিদেশিদের মার্চের বেতন দেওয়া হয়েছে। খেলা শুরু হলে প্রয়োজনে তাদের আবার নিয়ে আসা হবে। খেলোয়াড়রাও বিষয়টি মেনে নিয়েছে।
কাতো ক্লাবের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। যেহেতু চুক্তি আছে, তাই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা না করে দেশে ফিরতে পারছিলেন না। অতঃপর শেখ জামালের সঙ্গে সমাঝোতায় পৌঁছাতে পারায় দেশে ফিরতে আর কোনও সমস্যা নেই তার।
বর্তমান পরিস্থিতি মেনে এই মিডফিল্ডার জানান, বৃহস্পতিবার জাপান ফিরে যাচ্ছি। ক্লাবও অনুমতি দিয়েছে। আবার লিগ শুরু হলে আমি ফিরে আসবো। প্রায় আট মাস পর আমার পরিবারের কাছে যাচ্ছি। কিন্তু ওখানে গিয়ে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে আমাকে।
অন্য দুই জাপানি উরু নাগাতা ও নোরিকো হাসিগুচিও ফিরে যাচ্ছেন দেশে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই খেলোয়াড়ের ক্লাব মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধা।
সান নিউজ/সালি