ক্রীড়া প্রতিবেদক :
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাসিয়ামে প্রশিক্ষণের সময় গুরুত্বর আহত হয়ে প্রায় দেড় বছর চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন উশু খেলোয়াড় ওবায়দুল্লাহ।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিউ ইউনিটে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে জামালপুরের এই খেলোয়াড়ের বয়স হয়েছিল ২৩ বছর।
বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে শাওলিন উশু ফাইটার স্কুল নামে অনিবন্ধিত ক্লাবের প্রশিক্ষক মেজবাহ উদ্দিনের কাছে অনুশীলনের সময় আহত হন ওবায়দুল্লাহ। প্রায় ১৭-১৮ মাস যাবত প্যারালাইজড হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। যার অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে ওবায়দুল্লাহ আহত হন। সেই প্রশিক্ষককে অভিযোগ করে দুলাল হোসেন বলেন, আজ সেই মাস্টারকে স্মরণ করতে চাই, যিনি বা যারা সহজ সরল ওবায়দুল্লাহকে গেমস, পদক, বিদেশের লোভ দেখিয়ে এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল। ফিটনেস যাচাই না করেই ছেলেটিকে গেমস খেলানোর স্বপ্ন এমনভাবেই দেখানো হয়েছিল যে ছেলেটি দিন রাত কঠোর অনুশীলন করতে যেয়ে আহত হয়। কিন্ত তাকে লোভ দেখানো সেই শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন তাকে এক টাকাও সাহায্য করেননি। খুব ভালভাবেই তারা তাদের দায়িত্বকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছে।
দুলাল আরো জানান, ইতিমধ্যে মেজবাহ উদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ আনছার ও বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন থেকেও বহিষ্কৃত।
মঙ্গলবার রাতেই ওবায়দুল্লাহর মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওবায়দুল্লাহর মৃত্যুতে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
সান নিউজ/সালি