ক্রীড়া ডেস্ক: সমালোচনার তোপের মুখেই আছেন সাবিক আল হাসান। তার স্টাম্প কাণ্ডে বিব্রত ভক্তরাও। রীতিমতো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু তাতে বিজ্ঞাপনের বাজারে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারের। নিষেধাজ্ঞার সময় জৈব সুরক্ষা বলয়েই থাকার কথা থাকলেও এরই মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
একদিন আগে চুক্তিটা হলেও সাকিব তা প্রকাশ্যে আনলেন বুধবার। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটির একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সেখানে জানালেন, ‘এ-ই রিলায়েবল কনসাল্টেন্সি’ নামের সঙ্গে চুক্তি করে যারপরনাই খুশি তিনি। সাকিব বলছিলেন, ‘তাদের সমর্থন করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিব চুক্তি করলেন, তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে আগামী দু'বছরের জন্য চুক্তি করেছেন তারা। এখন থেকে বিভিন্ন শিক্ষা মেলায় তাদের পরামর্শদাতার মুখোমুখি হবেন আর শিক্ষা এবং উচ্চতর শিক্ষার প্রচার করবেন।
সাকিব যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন তারা দেশের বাইরে সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তারা কাজ করে।
যখন তাকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে তখনই কিনা নতুন আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন সাকিব। যদিও বলা হচ্ছিল মানসিকভাবে বেশ অস্থিরতায় আছেন তিনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পরিবারের সদস্যদের মিস করছেন। একদিন আগে যে দিন চুক্তি হলো সেদিনই, তার বড় কন্যা আলাইনা হাসান অব্রি পড়াশোনার প্রথম ধাপে শেষ করলো কিন্ডারগার্টেন পর্ব। সেখানে কন্যার পাশে থাকতে না পেরে সাকিব ফেসবুকে লিখেন, ‘কিন্ডারগার্টেন থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য আমার বড় মেয়েকে অভিনন্দন। আমি দুঃখিত তোমার বড় দিনটি মিস করেছি। তবে আমি নিকট ভবিষ্যতে এর কোনটি মিস না করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!’
আইপিএল খেলে দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন সাকিব। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানে নাম লেখান। দলটির নেতৃত্বে আছেন তিনি। তবে মাঠে সাফল্য নেই। একইভাবে মেজাজ হারিয়ে এখন তিনি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাঠের বাইরে।
গত শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে তিন দফায় বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবার লাথি মারেন স্টাম্পে, এরপর স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন। আবাহনীর ড্রেসিং রুম বা গ্যালারির দিকে দৃষ্টিকটু ইঙ্গিত করেন তিনি। বিবাদে জড়ান আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও। এরপর অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েও মুক্তি পাননি। তিন ম্যাচ আর ৫ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে মোহামেডান অধিনায়কের।
তবে সেই ধাক্কা পাশে সরিয়ে নতুন চুক্তির দিনে হাসিমুখেই ধরা দিলেন সাকিব। মাঠের বাইরে দূতিয়ালি আর বিজ্ঞাপনের ব্যস্ত দুনিয়ায় আরেকটু ব্যস্ততা বেড়েই গেল তার!
সান নিউজ/এমএম