ক্রীড়া প্রতিবেদক : করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে গেল মার্চে শুরু হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল)। প্রায় এক বছরের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকা অনেক ক্রিকেটারের মধ্যে স্বস্তিও ফেরে। কিন্তু করোনার হানায় গেল ১লা এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় আসরটি।
সেখানে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অভিযোগ রয়েছে বিভাগগুলোর ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টুর্নামেন্ট কমিটি।
বিষয়টি মাথায় রেখেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরুর আগে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্লাবগুলোর জন্য তৈরি করা জৈব সুরক্ষা বলয় (বায়ো বাবল) ভাঙলেই দেয়া হবে কঠোর শাস্তি। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো শাস্তির বিধান রাখছে বিসিবি।
ক্রিকেটার বা কর্মকর্তা বলয় ভাঙলেই করা হবে জরিমানা, বহিষ্কার এমনকি ক্লাবের পয়েন্ট কেটে নেয়া হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার ক্লাবগুলোর কর্মকর্তা ও অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানেই তাদের কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছি কোনভাবেই এবার বায়ো বাবল ভাঙা যাবে না। যদি কেউ সেটি করে তাহলে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা নেবে।
শাস্তির ধরনও কঠোর হবে। জরিমানা, দল থেকে বহিষ্কার হতে পারে, এমনকি ক্লাবের পয়েন্টও কাটা হতে পারে। এবার ১২টি ক্লাবকে রাখা হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেলে। তাই ক্রিকেটার ও দলের কর্মকর্তাদের বিসিবির দেয়া বায়ো বাবল মেনেই চলতে হবে। আমরা চাই না কারো কারণে লীগ কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’
গত মঙ্গলবার ১২ ক্লাবের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জানা গেছে সেখানে মোট ৯ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আজ আবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর ফলাফল বিসিবির হাতে এলেই জানা যাবে প্রকৃতপক্ষে কতজন আক্রান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
সান নিউজ/এম