স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটারদের ‘উইলোবাজ’বলার দিন কি তবে শেষ হয়ে এলো? কিংবা ক্রিকেট কি আরও একটু বোলার বিরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নই উঠে আসছে নতুন এক ধরণের ব্যাটের ঘোষণায়, বাঁশের তৈরি ব্যাট!
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সনাতনধর্মী ব্যাট থেকে এ ধরণের ব্যাট সাশ্রয়কর আর সুইটস্পটও বড়, যে কারণে চার ছয়ের সংখ্যাও বেড়ে যেতে পারে পাল্লা দিয়ে! এমনটাই দাবি করেছেন দুই গবেষক দার্শিল শাহ ও বেন টিঙ্কলার ডেভিস।
দার্শিল তো দাবিই করে বসেছেন, ইয়র্কারেও রীতিমতো ছক্কা হাঁকানো যাবে এই ব্যাট ব্যবহার করলে। তবে কারণ হিসেবে দু’জনে জানালেন উইলোর সংখ্যা কমে আসার বিষয়টা।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার্শিল বলেন, ‘ইংলিশ উইলোর সরবরাহ কমে আসছে ধীরে ধীরে। একটা গাছ রোপণের পর তা থেকে ব্যাট পেতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। তাও আবার ব্যাট প্রস্তুতের সময় একটি গাছের কাঠের ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ অপচয় হয়।
তুলনায় বাঁশ অনেক সস্তা। অনেক পাওয়া যায়। দ্রুত বাড়ে, টেকসই। কাছ রোপনের ৭ বছরেই ব্যাট বানানো যায়। এ কারণে চীন, জাপান ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এ ব্যাটই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এখানেই শেষ নয়। সনাতনী ব্যাট থেকে এ ব্যাট একটু বেশিই শক্তপোক্ত। তাই গড়পড়তা আয়ু বেশিই হওয়ার আশা করছেন গবেষকরা। তবে এ ব্যাট ব্যবহারে আসতে পেরোতে হবে বড় এক বাঁধা। কারণ ক্রিকেটে শুধুমাত্র কাঠের ব্যাটই ব্যবহারের অনুমতি আছে, সেখানে এই ব্যাট বাঁশের।
এর আগে সত্তরের দশকে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাটও এসেছে বাজারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চৌকাঠ মাড়ানোর আগেই তা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
সাননিউজ/এএসএম