স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তান দলে লম্বা সময় একসঙ্গে খেলেছেন দুই ভাই কামরান আকমল ও উমর আকমল। কিন্তু এখন দীর্ঘদিন ধরেই দলের বাইরে দুই ভাই। তবে উমর আকমলকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানো উচিত বলে বিশ্বাস করেন বড় ভাই কামরান আকমল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তান দলের বর্তমান মিডল অর্ডার দুশ্চিন্তা দূর করার কাজটি ভালোভাবেই করতে পারবেন উমর, এমনটাই আশা কামরানের। যদিও এখন জাতীয় দলের আশপাশেও নেই উমর।
থাকবেনই বা কী করে! সম্প্রতি জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন রাখার দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছেন উমর। পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে ৪২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের জরিমানাও। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ৩০ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
তবু নিজের ভাইকে জাতীয় দলে চাইছেন কামরান। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উমর আকমলকে বিবেচনায় রাখা উচিত। ওর শাস্তির বিষয়টি এখন শেষ হয়েছে। আমাদের এখন উচিত দেরি না করে ওর পুনর্বাসনের বিষয়ে নজর দেয়া।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্পে উমরকে নিয়ে কাজ করা উচিত পিসিবির। যেমনটা অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে করা হয়। যাতে ও ঘরোয়া ক্রিকেট ও পাকিস্তান সুপার লিগের পরবর্তী আসরের জন্য তৈরি হতে পারে।’
এসময় প্রয়োজনের উমরের জরিমানার অর্থ নিজের পারিশ্রমিক থেকে দেয়ার কথাও বলেন কামরান, ‘জরিমানার যে বিষয়টি আছে, উমর যদি এটি দিতে না পারে, তাহলে আমার পিএসএলের পারিশ্রমিক থেকে এটি কেটে রাখতে বলবো পিসিবিকে।’
শুধু নিজের ভাইকে দলে নেয়ার কথাই বলেননি কামরান, তিনি ব্যাট ধরেছেন দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ও ইমাদ ওয়াসিমের পক্ষেও। কামরানের মতে, পরীক্ষানিরীক্ষা বাদ দিয়ে এখন মালিক ও ইমাদকেই দলে রাখা উচিত পাকিস্তানের।
এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘তারা একের পর এক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে হয়রান হয়ে পড়েছে। তবু তা থামানোর নাম নেই।
পাকিস্তান দলের মিডল অর্ডারে এখন শোয়েব আখতারের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দরকার। আর ইমাদ ওয়াসিম বিশ্রাম চাইল, তারা বাদই দিয়ে দিলো। তারা এমন করলো কেনো?’
সাননিউজ/এএসএম