স্পোর্টস রিপোর্টার:
করোনা পরিস্থিতিতে মাঠে নেই আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট। তাই বোর্ডগুলোর আয়ও প্রায় বন্ধ। তাই বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পথে বসে যাবে।
আর বিসিবির সঙ্গে আছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের নামও।
তবে বিসিবির পরিচালক ও অর্থ কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিক জোর দাবি করেছেন, কোনোভাবেই পথে বসবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। একই দাবি করছেন আরো দুই পরিচালক আকরাম খান ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
মল্লিক বলেন, জানি না কিসের ভিত্তিতে তারা এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আমি তো মনে করি না বিসিবি কোনোভাবে দেউলিয়া হবে বা পথে বসবে। আমাদের আন্তত পাঁচ বছর টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে।
তবে একেবারেই যে ক্ষতি হবে না, তা নয়। সেটাও অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বিসিবি সংশ্লিষ্টরা।
এ বছর এরই মধ্যে পাকিস্তানে বাংলাদেশের সফরের শেষ ও তৃতীয় ধাপ স্থগিত হয়েছে। এরপর মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরও ভেস্তে গেছে। যদিও এই দুটিতে বিসিবির আর্থিক ক্ষতি নেই।
তবে জানা গেছে নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির হচ্ছে তা নিশ্চিত।
এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বিপিএল না হলেও দারুণ ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিবি। অন্তত ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে মল্লিক বলেন, ‘হ্যাঁ, ক্ষতি হবে তবে সেটা সাময়িক। এমন ক্ষতি গোটা ক্রিকেট বিশ্বেই হবে। ভারত কি কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে? প্রতিটি বোর্ডকেই কম বেশি লোকসান গুনতে হবে। তবে আমরা দেউলিয়া হবো সেটা ঠিক নয়। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিপিএল সেগুলো তো অনেক দেরি আছে। গোটা বিশ্বের বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতেই হবে।
অন্যদিকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও মানতে নারাজ যে একেবারে পথে বসবে বিসিবি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো আসলে অনুমান নির্ভর কথা। আমাদের যে সম্প্রচার চুক্তির কথা বলা হচ্ছে তা পরিস্থিতি ভালো হলেই ঠিক হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা এখন যে অবস্থানে আছি তাতে দেউলিয়া হবো না সেটি জোর দিয়েই বলতে পারি। আমার কাছে মনে হয় যতটা না আমরা আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবো তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আমাদের ক্রিকেটের। সেটি পুষিয়ে নেয়া হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিসিবির আরেক পরিচালক ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন করোনার এই পরিস্থিতি টানা দুই বছর চললেও বিসিবি পথে বসার মত প্রতিষ্ঠান নয়।
তিনি বলেন, ধরে নিলাম এই পরিস্থিতি আগামী দুই বছর বা তার চেয়ে বেশি চললো। আমি বলতে চাচ্ছি, ভাইরাস মুক্ত হলেও সব কিছু ঠিক হতে সময় তো লাগবেই। বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিকগুলো। কিন্তু বিসিবি যে প্রতিষ্ঠান তাদের সেই সক্ষমতা আছে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকার। এমন নয় যে আমরা ক্রিকেট খেলবো না বাকি সবাই খেলবে!
তিনি আরো বলেন, দুই বছর এমন থাকলেও বিসিবির পথে বসবে না। আমাদের ৫ বছর চালিয়ে নেয়ার মত সক্ষমতা আছে। আর এটাও সত্যি আমাদের চেয়ে অন্যদের ক্ষতিটাই বেশি হবে।
সান নিউজ/সালি