স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জুন-জুলাইয়ের প্রীতি টুর্নামেন্টের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে রিয়াল-বার্সার। এর ফলে এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার ম্যাচ দেখার সুযোগ মিলছে না লাস ভেগাসবাসীর। আর এই প্রীতি টুর্নামেন্ট না হওয়ায় ৩৩০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হলো স্প্যানিশ এই দুই জায়ান্ট।
এই টুর্নামেন্টের আয়োজক রিলেভেন্ট স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ড্যানি সিলম্যান জানিয়েছেন, ‘কোভিড-১৯ এ ভুক্তভোগীদের জন্য সহমর্মিতা। এ সময়ে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সমর্থক এবং আমাদের খেলার সঙ্গে জড়িত সবার স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব এবং অবরুদ্ধ থাকার সময় কবে শেষ হবে সেটা আগে থেকে বলার উপায় নেই। ইউরোপের ঘরোয়া ফুটবলের ভবিষ্যৎ কী হবে এবং চ্যাউয়েফার দুটি টুর্নামেন্ট আগস্টে হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এ গ্রীষ্মের চ্যাম্পিয়নস কাপ হওয়া সম্ভব নয়। আমরা ২০২১ সালে বিশ্বের সেরা সব দল ও ম্যাচগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় আবারও আয়োজনের আশা করি।’
করোনার কারণে দর্শকদের মন খারাপ হতেই পারে। তবে দুই ক্লাবের পরিচালকদের মন আরও বেশি খারাপ হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নস কাপে অংশ নেওয়ার জন্য দুই ক্লাবই প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো বা ১৬৬ কোটি টাকা পেত। দুই ক্লাব মিলে যা ৩৩০ কোটি টাকা। রিয়াল-বার্সার বিশাল বাজেট সামলানোর ভালো এক উপায় এই প্রীতি টুর্নামেন্ট। কিন্তু এবার সে অর্থের সংকুলানের অন্য পথ খুঁজে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর মৌসুম শুরু হওয়ার আগে স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও ইংল্যান্ডের বড় সব ক্লাব হাজির হতো উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ায়। দুটি ভিন্ন ভাগে অনুষ্ঠিত প্রীতি টুর্নামেন্টে নিজেদের পরখ করে দেখতেন সব খেলোয়াড়। কোচেরাও মৌসুমের আগে নিজের সব অস্ত্র বাজিয়ে দেখার সুযোগ পেতেন। এবারও মৌসুম শেষ হওয়ার পর এমন কিছু আয়োজনের চিন্তা ছিল। আর এর মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণ ছিল লাস ভেগাসের ম্যাচটি। নিজেদের নতুন স্টেডিয়ামটি যে ‘এল ক্লাসিকো’ দিয়ে উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল শহরটিতে।