স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলারদের বেতন কাটলে রাজস্ব হারাবে ব্রিটিশ সরকার। তাই বেশ বড়সড় লোকসানের মুখে পড়বে তারা। এমনটাই মন্তব্য করেছেন পেশাদার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান গর্ডন টেইলর।
করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলাররা। বেতন নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে ক্লাব মালিকদের সঙ্গে। খেলা বন্ধ থাকায় যে লোকসান হচ্ছে, তা কমিয়ে আনতে ৩০ শতাংশ বেতন কাটার সিদ্ধান্ত একরকম চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ফুটবলারদের ওপর।
বাধ্য হয়ে সায় দিলেও, আসলে মনঃক্ষুণ্ন ফুটবলাররা। ক্লাব কর্তৃপক্ষের এমন একতরফা সিদ্ধান্তের পরও নীরব ব্রিটিশ সরকার। এ নিয়েও বিস্মিত পিএফএ। খেলোয়াড়দের ওপর বেতন কাটার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন গর্ডন টেইলর।
গর্ডন টেইলর বলেন, অবাক হচ্ছি যে সরকার বিষয়টা বুঝতে পারছে না। অর্থনীতিতে ফুটবলের প্রভাব কিংবা রাজস্বে অবদান অনস্বীকার্য। ফুটবলাররা যে অবস্থান তৈরি করেছে, তা একদিনে আসেনি। আমি মনে করি, তারা যা পায় সেটা তাদের প্রাপ্য। এই সিদ্ধান্তটা হীতে বিপরীত হবে।
তিনি বলেন, প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের চাপে ফেলেছে সরকার। কিন্তু, তারা বুঝতে পারছেনা তিনভাগের একভাগ বেতনও যদি কাটা হয়, তাতে ক্ষতি হবে সরকারেরও। কেননা তখন রাজস্ব হারাবে তারা।
প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়দের স্বেচ্ছায় বেতন কাটার বিষয়টিতে সম্মত হওয়া উচিত, গেলো সপ্তাহে এক বিবৃতিতে একথা বলে বিতর্ক উস্কে দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। বেতনের কিছু অংশ ছাড় দিতে প্রস্তুত ফুটবলাররাও।
তবে, সেটি ক্লাব মালিকদের কোষাগারে নয় বরং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগুক, এমনটাই চাওয়া তাদের। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে একটি ফান্ড গঠন করেছে তারা। পিএফএ প্রধান গর্ডন টেইলর নিজেই সে ফান্ডে দিয়েছেন ৫ লাখ পাউন্ড। এছাড়া, পিএফএ কর্মকর্তারা আলাদাভাবে ১ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।
তাই বেতন কাটার সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের দরজায় ধরনা দিচ্ছে পেশাদার ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন-পিএফএ কর্তারা।
সান নিউজ/সালি