ক্রীড়া প্রতিবেদক : ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ- দ্বিতীয় ইনিংস: ৫২.৫ ওভারে ১১৭/১০, লিড ২৩০, বাংলাদেশ- প্রথম ইনিংস: ৯৬.৫ ওভারে ২৯৬/১০ (তাইজুল ১৩*)
আউট: সৌম্য ০, শান্ত ৪, মুমিনুল ২১, তামিম ৪৪, মিথুন ১৫, মুশফিক ৫৪, লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, নাঈম ০।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- প্রথম ইনিংস: ১৪২.২ ওভারে ৪০৯/১০ (কর্নওয়াল ৪*)
আউট: ক্যাম্পবেল ৩৬, মোসলে ৭, ব্র্যাথওয়েট ৪৭, মায়ার্স ৫, ব্ল্যাকউড ২৮, বোনার ৯০, ডা সিলভা ৯২, আলজারি ৮২, ওয়ারিকান ২, গ্যাব্রিয়েল ৮।
ঘূর্ণিতে তাইজুল দেখাচ্ছেন কারিশমা
মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাইজুলের ঘূর্ণিতে কাঁপছে অতিথিরা। প্রথমে জশুয়া ডি সিলভা ও পরে আলজারি জোসেফকে সাজঘরের পথ দেখান এ বাঁহাতি স্পিনার। জশুয়া তার অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন। জোসেফ ক্যাচ দেন কভারে। শর্ট কভারে তার ড্রাইভ মুমিনুলের কাঁধে লেগে শান্ত হাতে জমা হয়। তাইজুলের জোড়া আঘাতে বিরতির পর ব্যাকফুটে অতিথিরা।
৫৭ রান, ৩ উইকেট
রাহীর ২ ও তাইজুলের ১ উইকেটে প্রথম সেশন বাংলাদেশের। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরেছে। তবে বোলিংয়ে আরও ধার বাড়াতে হবে। কারণ লিড এরই মধ্যে দুইশ অতিক্রম করেছে। মধ্যাহ্ন বিরতিতে অতিথি দলের লিড ২১১ রান। এ সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫৭ রান।
ব্ল্যাকউডকে ফেরালেন তাইজুল
লং অফ দিয়ে দারুণ ছক্কায় রানের খাতা খুলেছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। দ্রুত রান তুলতে হবে এমন মানসিকতায় মাঠে নেমেছিলেন। তাতে হিতে বিপরীত হল। তাইজুলের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পড হন ৯ রান করা ব্ল্যাকউড।উইকেটের পেছনে দারুণ দক্ষতা দেখান লিটন। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ৭৩। নতুন ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভা।
মায়ার্সকে ফেরালেন রাহী
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাহী পেলেন আরেকটি উইকেট। ভয়ংকর হয়ে উঠার আগে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন কাইল মায়ার্সকে। তার লেন্থ বল সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। বলের লাইনে ব্যাট নিতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ রানে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি মায়ার্সের। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ৬২। নতুন ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড।
রিভিউ নিতে কিপটেমি!
নাইটওয়াচম্যান ওয়ারিক্যানকে ফিরিয়ে হাসিখুশি ছিলেন রাহী। নতুন ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স। মাঠে নেমে প্রথম বলে বাউন্ডারি। হাসিমাখা মুখটা মুহূর্তেই বিমর্ষ হয়ে গেল। কিন্তু হাল ছাড়লেন না এ পেসার।
পরের চার বলে কোনো রান নিতে পারেননি চট্টগ্রাম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। ওভারের শেষ বলে পেতেও পারতেন উইকেট। তার অফস্টাম্পের বাইরের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন মায়ার্স। ব্যাটের চুমু খেয়ে বল যায় লিটনের হাতে।
লিটন ও রাহীর হালকা আবেদনে আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ সাড়া দেননি। তাদের আবেদনও ছিল না যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস, প্রাণ। সতীর্থরা অধিনায়ক মুমিনুলকে মানাতেও পারেননি। ফলে তিন তিনটা রিভিউ থাকলেও মুমিনুল চ্যালেঞ্জ জানালেন না। কেন রিভিউ নিতে এতো কিপটেমি!
রাহীর আঘাত
নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিক্যানকে ফিরিয়ে দিনের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্যে ভাসালেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। তার সোজা ডেলিভারীতে বল মিস করে এলবিডব্লিউ হন ওয়ারিক্যান। ২২ বলে ২ রান করেন তিনি। ওয়ারিক্যানের ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ৫০। নতুন ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স।
উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
১৫৪ রানের লিড নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লিড নাগালে রাখতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য উইকেট নিতে হবে বোলারদের। প্রথম ৪ ওভারে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেননি বোলাররা।
সান নিউজ/এসএম