ক্রীড়া প্রতিবেদক : অবশেষে স্বস্তি এনে দিলেন তাইজুল ইসলাম। তৃতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই ক্রিজে থিতু হওয়া এনক্রুমা বোনারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পেলে সাজঘরে ফেরান। এটি চট্টগ্রাম টেস্টের ৫ম ও শেষ দিনের প্রথম উইকেট।
এর আগে রিভিউ নিয়ে বোনার বেঁচে গেলেও এবার আর রিভিউ নেননি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪৫ বলে ৮৬ রান। তার আউটের মাধ্যমে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে গড়া ২১৬ রানের জুটি।
চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে দারুণ ব্যাট করেতে আসেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এনক্রুমা বোনার ও কাইল মায়ার্স। বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৪ রানের বড় লিড মোকাবেলায় দু’জনের ব্যাটে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ক্যারিবিয়রা। চতুর্থদিনে ১১০ রানে তিন উইকেট হারালেও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেন বোনার ও মায়ার্স। পরে সেই বোনারকে শিকার করেন তাইজুল।
উইকেটে থিতু হয়ে বসা মায়ার্স নিজের টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ১৭৮ বলেই। মুস্তাফিজের বোল মায়ার্সের ব্যাটের কাণায় লেগে স্লিপ দিয়ে সীমানা ছুঁলে শতক পূর্ণ করেন বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান। তাকে সঙ্গ দেওয়া বোনারও অভিষেক টেস্টে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে থামতে হয় তাকে। চা বিরতির পর বল হাতে এসেই বোনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এতেই ২১৬ রানে বিশাল জুটি ভাঙে সফরকারীদের।
দুই অভিষিক্ত বোনার ও মায়ার্সের ২১৬ রানের এই জুটি ভাঙার বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। মায়ার্সের ৪৭ রানের তাইজুল ইসলামের বলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল স্টাম্পে।
মায়ার্সই একটু পর জীবন পান ৪৯ রানে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও সুযোগটি ছিল কঠিন। জীবন পাওয়ার বলেই মেয়ার্স পূরণ করেন ফিফটি। ২৬৪ রানের মাথায় বোনার এগিয়ে আসলে বল চলে যায় লিটনের হাতে, কিন্তু বল ঠিকভাবে ধরে স্ট্যাম্পিং করতে না পারায় রক্ষা পান বোনার।
দুই ক্যারিবিয়র আক্রমণে অসহায় দেখাচ্ছে মিরাজ-তাইজুলদের। মায়ার্স হাফ সেঞ্চুরির আগে জীবন পেয়েছিলেন শান্ত ক্যাচ মিস থেকে। সেই ভুলের খেসারত দেয় বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংস-ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৮৩/৪ ( মায়ার্স ১২১*, ব্ল্যাকউড ৬* )
সান নিউজ/এম