স্পোর্টস ডেস্ক : জমে থাকা সব রাগ সাউদাম্পটনের ওপর উগড়ে দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাউদাম্পটনের জালে গুনে গুনে এদিন ৯ বার বল পাঠিয়েছেন রাশফোর্ড, মার্শিয়াল, ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। আর তাতেই প্রিমিয়ার লিগে স্পর্শ করল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সাউদাম্পটনকে ৯-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যেখানে জোড়া গোল করেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল আর একটি করে গোল করেন অ্যারন ওয়ান বিসাকা, মার্কাস রাশফোর্ড, এডিনসন কাভানি, স্কট ম্যাকটিমনি, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও ড্যানিয়েল জেমস। বাকি গোলটি আসে আত্মঘাতি থেকে।
খেলা মাঠে গড়ানোর দুই মিনিটের মাথায় সাউদাম্পটন খেলোয়াড় আলেক্সান্ডার জ্যাকেনউইজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ম্যাকটমিনিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন এই সুইস মিডফিল্ডার। আর তাতেই গোটা ম্যাচ ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয় সাউদাম্পটনকে। আর যদিও ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জান বেডনারেক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ৯ জনের দলে পরিণত হয় সাউদাম্পটন।
প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তৃতীয়বার কোনো দল ৯ বা এর বেশি গোলে জিতল। ১৯৯৫ সালে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৯-০ গোলে, ২০১৯ সালে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লেস্টার সিটি একই ব্যবধানে জিতেছিল।
খেলার ১৮ মিনিটের মাথায় রেড ডেভিলসদের লিড এনে দেন ফুলব্যাক অ্যারন ওয়ান বিসাকা। এর মিনিট সাতেক পর মেসন গ্রিনউডের পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাশফোর্ড।
এরপর ম্যাচের ৩৪ মিনিটে জান বেদডারেকের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান আরও বাড়ে। ডান দিক থেকে রাশফোর্ডের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান এই পোলিশ ডিফেন্ডার। পাঁচ মিনিট পর লুক শ'র ক্রসে হেডে বিরতির আগেই স্কোরলাইন ৪-০ করেন কাভানি।
বিরতির পর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে জালের দেখা পান মার্শিয়াল। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো দারুণ এক গোল করেন ম্যাকটিমনি।
শেষ দিকে মার্শিয়ালকে ডি-বক্সে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বেদনারেক। স্পট কিকে ফার্নান্দেজ বল জালে পাঠানোর পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মার্শিয়াল। আর যোগ করা সময়ে নবম গোলটি করেন জেমস।
এই জয়ে ২২ ম্যাচে ১৩ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে শিরোপাধারী লিভারপুল।
সান নিউজ/এসএম