স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির প্রবর্তক টনি লুইস মারা গেছেন। ডাকওয়ার্থকে ছেড়ে এই গণিতবিদ ৭৮ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
১ এপ্রিল বুধবার ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে লুইসের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়েছে।
১৯৯৭ সালে তার আবিস্কৃত পদ্ধতি ডিএল মেথডের কারণে ক্রিকেট ম্যাচের ভাগ্য মীমাংসা সহজ হয় আইসিসির কাছে। যার সুফল এখনো পাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব।
সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটা যখন দুলছিল। তখন একপশলা বৃষ্টি এসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে রান কমে নতুন টার্গেট যা দাড়ায়, তা সহজেই পেরিয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি উচিয়ে ধরে আকবরা।
শুধু এই ম্যাচ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ফলাফল গড়ায় ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে। যা না থাকলে হয়তো বিপদে পড়তো দল গুলো।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ক্রিকেটে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার উপায় খুঁজছিল আইসিসি। এসময় সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন লুইস। সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। দু'জনে মিলে ১৯৯৭ সালে আবিস্কার করেন একটি পদ্ধতি। তাদের নামের শেষাংশ থেকেই পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড।
প্রায় দু'বছর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর পর ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রিকেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতি চালু করে আইসিসি।
তবে ২০০৬ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হবার পর এর গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কেননা বিশ ওভারের ক্রিকেটে এই আইন প্রয়োগ করলে জনপ্রিয়তা হারায়।
টনি ও ফ্রাঙ্ক যখন তাদের পদ্ধতি আবিস্কার করেন তখন অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছিল না। ২০১৪ সালে এর সমাধান করেন অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন। তাতে এই পদ্ধতির নাম হয়ে যায় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন সংক্ষেপে ডিএলএস মেথড।
তবে লুইসের সেই পদ্ধতি আবিস্কৃত না হলে হয়তো এর সুফল ক্রিকেট বিশ্ব পেত না। তাই যত দিন রবে ক্রিকেট ততদিন রয়ে যাবে তার নাম। বিদায় লুইস। ক্রিকেট আপানার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সান নিউজ/সালি