স্পোর্টস রিপোর্টার:
করোনার কারণে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে বিভিন্ন ফেডারেশনের খেলোয়াড়রা। পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমনটা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে অবশ্যই ১০০০ জনের অধিক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা এই সহায়তা পাবেন। খেলোয়াড়দের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করে জাহিদ বলেন, "আপনি নিরাপদে থাকুন, তাহলে আমরা সবাই নিরাপদে থাকবো। সবার কাছে অনুরোধ আপনারা বাসায় থাকুন।"
এর আগে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সবধরনের খেলাধুলা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তিনি। করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থগিতাদেশ বেড়েছে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত। মন্ত্রী বলেন, লকডাউন যতদিন চলবে, ততদিন সবধরনের খেলা স্থগিত থাকবে।
আর এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্রিকেট ও ফুটবলের বাইরের ক্রীড়াবিদরা।কারণ ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছাড়া বড় পারিশ্রমিক পান না অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা। কোনো কোনো ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের তো ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’ অবস্থা। ফেডারেশনের কোচ ও খেলা সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্মীদের অবস্থা আরও করুণ।
খেলোয়াড়দের বিপদের এই দিনে আশার বানী শুনিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা করা হবে।
করোনো মোকাবেলা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সরকারের পাশে আছে জানিয়ে রাসেল বলেন, আমরা এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনে দেশের সকল স্টেডিয়ামে অস্থায়ী হাসপাতাল হবে- এই নির্দেশনাও দেয়া আছে।
সান নিউজ/সালি