ভারতীয় ক্রিকেট দলে একসময়ের নির্ভরযোগ্য বোলার ইরফান পাঠান। সম্প্রতি সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার।
ভারতের জার্সিতে ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওয়ানডে এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান পাঠান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ৩০১টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ইরফানের অভিষেক হয়। ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফরে নিজের জাত চেনান এই পেসার। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন ইরফান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৬ সালে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন ইরফান। এছাড়া তার ক্যারিয়ারের আরেকটি স্মরণীয় পারফরম্যান্স ছিল ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। সে ম্যাচের সেরা পারফর্মার হিসেবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেন তিনি।
দলের প্রয়োজনে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দেখা গেছে পাঠানকে। কখনো টপ অর্ডারে খেরতে দেখা গেছে তাকে। মাত্র ২৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে তার গড় ৩১.৫৭। এই ফরম্যাটে একটি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি আছে তার।
ইরফানের একদিনের ক্রিকেটের গড়ও খুব একটা খারাপ না। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং গড় যথাক্রমে ২৩.৩৯ এবং ২৪.৫৭।
জাতীয় দলে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমান্বয়েই নিম্নমুখী ছিল ইরফান পাঠানের। ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলেন ২০০৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে আরো বছর চারেক খেলেন তিনি। ২০১২ সালে নিজের শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন ইরফান।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে গেছেন এ ভারতীয় পেসার। সঙ্গে ক্রিকেট কোচিংও করিয়েছেন এ বোলিং জিনিয়াস। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনি।
অবসর পরবর্তী সময়ে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি ইরফান পাঠান।
সান নিউজ/সালি