স্পোর্টস ডেস্ক : টটেনহাম হটস্পার্সের কাছে হারের পর সাত ম্যাচ ধরে অপরাজিত ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল সিটিজেনরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আতিথ্য নেওয়া নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে সহজ জয়ই পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে বসা সিটিজেনরা গোলের জন্য অপেক্ষা করেছে মাত্র ১৪ মিনিট। রহিম স্টার্লিংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে সিটিকে লিড এনে দেন ইয়াকি গুন্দোয়ান।
গুন্দোয়ানকে করা অ্যাসিস্টটি স্টার্লিংয়ের গার্দিওলার অধীনে ১৫০তম গোলে অবদান ছিল। গার্দিওলার অধীনে সিটির খেলোয়াড়দের ভেতর স্টার্লিংয়ের গোলে অবদান সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে তিনি ৯৬টি গোলের পাশাপাশি করেছেন ৫৪টি অ্যাসিস্ট।
প্রথমার্ধে গুন্দোয়ানের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে সিটিজেনরা। তবে কিছুতেই নিউক্যাসেলের রক্ষণে আর ফাটল ধরাতে পারছিল না ডি ব্রুইন, ফারান তোরেস কিংবা রহিম স্টার্লিং। মুহুর্মুহ আক্রমণে সিটিজেনরা ব্যস্তই রেখেছিল নিউক্যাসেলের রক্ষণ। তবে কিছুতেই আর কিছু না হওয়ায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিটি।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচের ৫৫ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে সিটি। মাঠের ডান প্রান্তে আলমিরনের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন বার্নার্দো সিলভা, বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর ক্রসও করেছিলেন সিলভা। কিন্তু বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে তোরেসের কাছে পাঠিয়ে দেন নিউক্যাসেল ডিফেন্ডার ফার্নান্দেজ। আর সেখান থেকেই বল জালে জড়ান স্প্যানিশ তরুণ ফরোয়ার্ড ফারান তোরেস। আর সিটি এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার মিনিট চারেক পরে তৃতীয় গোলে দেখা পেতে পারত সিটি তবে সিলভার শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে তা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের প্রায় ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখে আর ১১টি গোলের সুযোগ তৈরি করেও ওই ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে সিটি। লিগে ১৪ ম্যাচে ৭ জয়, ৫ ড্র আর দুই হারে ২৬ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার সিটি। ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এভারটন, ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লেস্টার আর ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সান নিউজ/এসএম