ক্রীড়া ডেস্ক : ‘গভীর ভাবে চিন্তা করার পর, আমার ইচ্ছা যে আমার দেহ সংরক্ষণ করা হোক। সেখানেই রাখা থাক আমার সব ট্রফি, ব্যক্তিগত জিনিস। মানুষ এসে তাদের ভালবাসা জানিয়ে যাক সেখানেই।’ জীবনের শেষ চিঠিতেই এভাবেই নিজের ইচ্ছার কথা লিখে গেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল লিজেন্ড দিয়েগো ম্যারাডোনা।
মৃত্যুর দেড় মাস আগে ১৩ অক্টোবর নিজের শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করে সই করে গিয়েছিলেন ফুটবলের মহাতারকা ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যেখানে রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের মতোই তার দেহও সংরক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৯২৪ সালে মারা যান লেনিন। মস্কোর রেড স্কোয়ারে তার দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রে ও হুগো স্যাভেজ ঘনিষ্ঠ ম্যারাডোনার ইচ্ছা, তার দেহও সংরক্ষণ করা হোক, সঙ্গে তার ট্রফি।
ম্যারাডোনার আইনজীবী মারিয়ো বাউড্রি বলেন, ‘এমন কোথাও সমাধি করা হোক, যেখানে সব ভক্ত আসতে পারবেন। এই ভাবনা ম্যারাডোনা তার ভাইদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।’
৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ম্যারাডোনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২৫ নভেম্বর। আর্জেন্টিনার তিগ্রে’তে নিজ বাসায় মারা যান ম্যারাডোনা। এক মাস আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি। বুয়েনস এইরেসের হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত অপসারণ করা হয়েছিল। তখন মাদকাসক্তি নিয়ে ভীষণ সমস্যায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা। পুনর্বাসনের জন্য তাকে নেয়া হয়েছিল তিগ্রে’র একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই শিরোপা জেতানো ছাড়াও ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দিয়েছেন মারাদোনা। নাপোলিকে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা কাপ জিতিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন।
সান নিউজ/এস