ক্রীড়া ডেস্ক : মাঠের বাইরে সমর্থকদের মধ্যে যতই বিরোধ থাকুক, ক্রিকেট আর ফুটবল যে হাত ধরাধরি করেই এগিয়ে চলছে তার আরেকটি দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন দুই তারকা। নিজেদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জাতীয় ফুটবল দলের তারকা মাহবুবুর রহমান সুফিল এবং মোহামেডান নারী দলের ক্রিকেটার জিন্নাত আছিয়া অর্থি।
কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছিলেন জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার সানজিদা ইসলাম এবং রংপুরের বিভাগীয় দলের ক্রিকেটার মীম মোসাদ্দেক। সেখানে হয়তো দু’জনই একই ভুবনের বাসিন্দা ছিলেন। তবুও কম আলোচিত ছিল না সেই বিয়েটি। এবার সুফিল আর অর্থির বিয়েটা যেন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেলো। এরই মধ্যে দু’জনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
একজনের হাতে বল, অন্যজনের হাতে ব্যাট। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বিয়ের সাজে তোলা সুফিলের হাতে বল এবং অর্থীর হাতে ব্যাটের ছবিই এখন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনরা অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন ফুটবল-ক্রিকেটের এই জুটিকে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সুফিল ও অর্থির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তার আগেই তোলা হয় সেই ছবি। অর্থীর সতীর্থ তথা নারী ক্রিকেটাররা এ সময় নতুন জুটিকে সংবর্ধনা জানান।
সিলেটের সুনামগঞ্জের ছেলে সুফিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সেরা তারকাদের একজন। ক’দিন আগেই ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক দারুণ এক গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও প্রথম একাদশে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন সুফিল। ওই ম্যাচ খেলেই কাতার থেকে ফিরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।
বগুড়ার মেয়ে অর্থি ক্রিকেট খেলেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলতে দেখা গেছে তাকে। জাতীয় ইমার্জিং দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন অর্থী। ব্যাটিং করার পাশাপাশি প্রমীলা দলের উইকেটকিপারও তিনি।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের দুই মেয়ের মধ্যে জিন্নাত আছিয়া ছোট। প্রায় এক যুগ আগে বগুড়ার প্রয়াত ক্রিকেট প্রশিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের হাত ধরে ক্রিকেটে অভিষেক জিন্নাত আছিয়ার। এরপর শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে ভর্তির সুযোগ পান বিকেএসপিতে। সেখানেই পরিচয় ফুটবলার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে।
বন্ধুত্ব থেকে একসময় দুজনের মধ্যেই প্রেম তৈরি হয়। পরিবারের সম্মতিতেই বাকি জীবনের জন্য একে অপরের সঙ্গী হলেন তারা। বগুড়ার ম্যক্স মোটেলে ঘরোয়া পরিবেশে সুফিল-অর্থির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বগুড়ার নারী ক্রিকেটাররা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমানও।
একদিন আগে হয়েছিল গায়েহলুদ। পরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহবুবুর রহমানের অভিভাবকেরা।
সান নিউজ/এসএম