ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আগামী ১ এপ্রিল করাচিতে একটিমাত্র ওয়ানডে আর ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এক টেস্ট খেলতে ২৯ মার্চ করাচি যাবার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে সফর স্থগিত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। কারণ িএ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তৃতীয় দফা পাকিস্তান খেলতে যাবার সম্ভাবনা খুব কম।
অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি সফরের ঐ অংশ বাতিল করার ঘোষণা না দিলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কথাতেও সফরে না যাবার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
তবে বিসিবি সিইও‘র কন্ঠে পরিষ্কার ইঙ্গিত, তারা এখনই নিজেরা যেচে ‘না’ বলতে চাচ্ছেন না। যেহেতু স্বাগতিক পাকিস্তান, তাই বিসিবি চাচ্ছে ঐ এক ওয়ানডে ও টেস্ট আপাতত স্থগিতের ঘোষণাটি পিসিবির কাছ থেকেই আসুক।
আজ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের টাইটেল স্পন্সর ঘোষণার অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নর জবাবে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, পাকিস্তান আয়োজক দেশ। তাই সিদ্ধান্তটা তারাই নেবে। আমরা দেখি পাকিস্তান কি সিদ্ধান্ত নেয়। আপনারা দেখেছেন, তাদের ঘরোয়া যে প্রতিযোগিতা (পিএসএল) হচ্ছে সেখান থেকে ৯ -১০ জন বিদেশি খেলোয়াড় চলে গেছে। আমরা পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আছি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা তো সফরকারি দল। আমরা যে কোনো সময়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারি। ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি কিন্তু এখন প্রতিদিন নতুন করে তৈরি হচ্ছে। মুভমেন্টের জন্য করণীয় আসছে নতুন করে। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ক্লোজ মনিটরিংয়ে রাখছি। আমরা প্রত্যাশা করছি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড খুব শিগগিরিই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
এদিকে বিসিবি বস পাপন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বিসিবি সভাপতি সারা বিশ্বের পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া এখন শুধু দুই দেশের সরকার, বোর্ডের হাতেই সীমাবদ্ধ নেই। করোনার কারণে অনেক দেশের সাথে বিমান যোগাযোগও প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম। তাই বিষয়টি দিনকে দিন জটিলই হয়ে পড়েছে এবং অনিশ্চয়তাও এসে ভর করেছে।
তিনি বলেন, আশা করছি যে কাল পরশুর মধ্যেই চূড়ান্ত একটা কিছু হয়ে যাবে। এটা ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন আছে। কাল পরশুর মধ্যেই ফাইনাল একটা কিছু জানাতে পারব। তবে যেটা বললাম সব জায়গায় যেভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে, তাতে সম্ভাবনা আসলে খুব কঠিন।
ভেন্যু বদল সম্পর্কে বিসিবি প্রধানের তার ব্যাখ্যাং বলেন, ভেন্যুর সঙ্গে তো ট্রাভেল রেস্ট্রিকশনের সম্পর্ক নেই। কেউ তো বলতে পারবে না, ওমুক দেশে যেতে পারবা, কিন্তু ওমুক ভেন্যুতে যেতে পারবে না। এমন তো আর না। দেশের বাইরে যাওয়া আসা এটাই তো নিষেধাজ্ঞা। এই যে শ্রীলঙ্কা, ভারতে যেটা হয়েছে, বাইরে থেকে দেশে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। আমাদের প্লেয়ারদের যদি ফিরে এসে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়, তাহলে তো মুশকিল। এইগুলো আপনাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। যতদিন যাচ্ছে রেস্ট্রিকশন বাড়ছে। এই জন্য হয়তো এটা আমাদের অন্য সময় করতে হতে পারে। বাইরের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আইপিএলের মত টুর্নামেন্টও পিছিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই যখন পিছিয়ে দিয়েছে, শুধু আমাদের জন্য নয়, সবার জন্যই চিন্তার বিষয়।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাল ঘোষণা দিয়েছেন বহিঃবিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ সাময়িক স্থগিত রাখতে। এ অবস্থায় ধরে নেয়াই যায় আপাদত এবারের সফর সময় মতো হচ্ছে না।
সান নিউজ/সালি