স্পোর্টস ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের আক্রমনে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। ফাকা হয়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত শহরলোও। এর বড় প্রভাব পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়া অঙ্গনেও। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে ক্লাব ফুটবলে বিশ্বের সবচেয়ে আসর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলাও। চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বর্তমান মৌসুম বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও এমন কোন সম্ভাবনা নেই বলে সে খবর উড়িয়ে দিয়েছেন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও ফিফা সহ-সভাপতি গ্রেগ ক্লার্ক। তবে শেষ পর্যন্ত যদি বাকি ম্যাচগুলো মাঠে না গড়ায় সেক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে ইংলিশ ফুটবল।
ব্রিটিশ জাতীয় দৈনিক দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার কারণে চলতি মৌসুমের সমাপ্তি ঘটলে প্রতিটি ক্লাবের ক্ষতি হবে ৩৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯০১ কোটি টাকা। আর ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষতি হবে ৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা ৭৮০২ কোটি টাকার চেয়েও বেশি।
ব্রডকাস্টারদের কাছ থেকে প্রতি মৌসুমের জন্য ৩ বিলিয়ন পাউন্ড পায় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। প্রিমিয়ার লীগ স্থগিত হওয়ায় চাপের মুখে অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার স্কাই স্পোর্টস, বিটি স্পোর্টস এবং অ্যামাজন। গ্রাহকরা ইতিমধ্যে তাদের কেনা প্যাকেজগুলো ফেরত নিতে চ্যানেলগুলোর প্রতি চাপ প্রয়োগ করছে।
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজিত হলে আয়োজকরা ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেলেও ক্লাবগুলোর সে সুযোগ নেই। গেটমানি থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো। সবচেয়ে বেশি আয় করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বাকি ম্যাচগুলো মাঠে না গড়ালে কিংবা দর্শকশূন্য মাঠে হলে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড হারাবে ম্যানইউ। আর্সেনালও সমপরিমাণ অঙ্কের ক্ষতির শিকার হবে।