স্পোর্টস ডেস্ক:
করোভাইরাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গন। একের পর এক টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থগিত হতে শুরু করেছে ইউরোপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের লিগ। আর ইতালিতে সবধরনের ক্রীড়া আয়োজনই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ইতালী চ্যাম্পিয়ান জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার দানিয়েল রুগানির কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হয়েছে। এই খবর জানার পর পর্তুগালে নিজ বাড়িতে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার রুগানির পরবর্তী চিকিৎসা করবে জুভেন্টাসই। এমনকি রুগানির সংস্পর্শে গত কয়েকদিনে আসা সকলকে পরীক্ষা করার কথাও জানিয়েছে তারা। এখানেও শেষ নয় রুগানি নিজের শেষ ম্যাচ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলেছে, তাই দু’দলকেই এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবশ্য সতীর্থদের করোনায় আক্রান্তের খবর জানার আগেই নিজের দেশে ফিরে গেছেন রোনালদো। আপাতত পর্তুগালে নিজ শহর মাদেইরা থেকে ফিরছেন না তিনি।
জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৯ মার্চ নিজের অসুস্থ মা দোলোরেস আভেইরোর পাশে থাকার জন্য মাদেইরায় গেছেন রোনালদো। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্টার মিলান ম্যাচের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রোনালদোর মা। এজন্য রোনালদোকে তিন দিনের ছুটি দেয় জুভেন্টাস। এর আগে নিজের বোনের জন্মদিন উদযাপনের জন্যও পর্তুগালে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ায় ইতালিয়ান ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (সিওএনআই) দেশটির জাতীয় পর্যায়ের সব ক্রীড়া আসর স্থগিত ঘোষণা করে।
এদিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পর্তুগাল থেকে বিশেষ বিমানে ইতালি পৌঁছানোর কথা ছিল রোনালদোর। এরপর বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামার কথা ছিল। কিন্তু রুগানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জুভেন্টাস স্কোয়াড সদস্যদের এখন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। আর পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নিজের পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই থাকবেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
চীনের পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ইতালিতে। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৬২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত ইতালিতে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩১ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১৪৯। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ইতালির প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন কোয়ারেন্টাইনে আছে।