সান নিউজ ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগেই ২০২০ সালের বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে।
গত বছরের চেয়ে একজন খেলোয়াড় কম রেখেই ৮ মার্চ রবিবার এবারের তালিকা প্রকাশ করে বিসিবি। কিন্তু সে তালিকায় ছিল না বাংলাদেশের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের নাম।
দেশের ক্রিকেটে শুরু থেকেই তাকে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ বলা হলেও মাঝের কিছুটা সময় ব্যর্থতার কারণে সমালোচনায় পড়তে হয় তাকে।
ফলে হয়তো সার্বিক বিচারে ২০২০ সালের বিসিবির নবায়নকৃত বা নতুন চুক্তিতে রাখা হয়নি তার নাম। এরপরই ক্রিকেট পাড়া সহ সর্বমহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
যার রোশানলে পড়ে বিসিবি জানায় ভুলেই নাকি সে তালিকায় সৌম্যের নাম উঠেনি। সেই ভুল সংশোধন করে পূণরায় নতুন তালিকাও প্রকাশ করেছে বোর্ড । তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সৌম্য।
এ নিয়ে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে। সেই সঙ্গে দুই বছর পর আবার বোর্ডের চুক্তিতে ফিরলেন তিনি।
এদিকে সদ্য বিয়ে করে মাঠে নেমেই দারুন এক ইনিংস খেলেন সৌম্য। সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ম্যাচটিও হয়েছে স্বপ্নের মতো। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে তুলেছেন রানের পাহাড়ে।
সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে অপরাজিত থাকা বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে সৌম্য ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে ৩২ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। আর তার সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও যায় তার হাতে। ম্যাচ শেষে বিয়েভাগ্য নিয়ে এক পশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে অনেকটা তাই, একারণে হতে পারে আমার এমন ফিরে আসা।
লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ছন্দপতন শেষে ২০১৮ এশিয়া কাপ দিয়ে ফর্মে ফেরেন তিনি। ২০১৯ সালটাও ভালো কাটে তার। যদিও বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা প্রদর্শন করতে পারেননি। তবে বিশ্বমঞ্চে নামার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো খেলেন তিনি। তাতে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক টুর্নামেন্ট জেতে বাংলাদেশ।
ভালো খেলেন ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ওই বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলেন টাইগাররা। এর মধ্যে ২৫টিতেই দলে ছিলেন সৌম্য। জাতীয় দলের হয়ে ১৮ ওয়ানডে ম্যাচের ১৭টিতে খেলে করেন ৫০৬ রান। পাশাপাশি শিকার করেন আট উইকেট। নতুন বছরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চুক্তিতে রয়েছেন তিনি।
৮ মার্চ রোববার চলতি বছরের চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন চুক্তিতে আগের বছরের মতো এবারও আছেন ১৭ জন, এবার বেতনও বাড়ায়নি বিসিবি। তবে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করায় আয় বেড়েছে চুক্তিভূক্ত সবার।
এবার লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদাভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। দুই বিভাগেই আছেন সাতজন ক্রিকেটার। বাকিদের কেউ সাদা বল, কেউ লাল বলের চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন। অবশ্য যারা শুধু লাল বা সাদা বলের তালিকায় চুক্তিভূক্ত হয়েছে, গ্রেডিংয়ে উন্নতি হওয়ায় বেতন বাড়ছে তাদেরও।
১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তালিকা ও পারিশ্রমিকঃ
এ প্লাস: (মাসিক পারিশ্রমিক ৪ লাখ)
লাল বল: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম
সাদা বল: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার
এ: (মাসিক পারিশ্রমিক ৩ লাখ)
লাল বল: মুমিনুল হক
সাদা বল: নেই
বি: (মাসিক পারিশ্রমিক ২ লাখ)
লাল বল: লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ
সাদা বল: লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ
সি: (মাসিক পারিশ্রমিক দেড় লাখ)
লাল বল: নেই
সাদা বল: মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
ডি: (মাসিক পারিশ্রমিক ১ লাখ)
লাল বল: মোহাম্মদ মিঠুন, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম হাসান
সাদা বল: তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ
সান নিউজ/সালি