স্পোর্টস ডেস্ক:
সফরের একমাত্র টেস্ট ও তিন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪৮ রানের এ জয়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি জয়। এতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৪৩ রানের। ২০০৬ সালে খুলনায় এই জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি আর সৌম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মিরপুরে পুরোপুরি তান্ডব শুরু করেছিল টাইগাররা। সে তান্ডবের বদৌলতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২০০ রান।
জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজের আগুনে বোলিং এবং লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের মায়াবি ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে জিম্বাবুইয়ানরা অলআউট হয়ে যায় ১৫২ রানে।
ফলে অনায়াসে ৪৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। গত বছর ভারত সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। দুটি ভারতের কাছে এবং অন্য দুটিতে পাকিস্তানের কাছে।
অবশেষে জিম্বাবুয়েকে ডেকে এনে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব নেন ৩টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।
২০১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়ে ইনিংসে আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। সফরকারীদের ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরকে ফিরিয়ে দেন ১ রানেই। দলীয় রান তখন তাদের ১১।
এরপর ক্রেইগ আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েসলি মাধেভিরে রান আউট হয়ে যান ৪ রান করে। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় তিনাসে কামুনহুকামুয়ে আউট হন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে তিনিই সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। অধিনায়ক শন উইলিয়ামস আউট হন ২০ রান করে।
সিকান্দার রাজা করেন ১০ রান, রিচমন্ড মুতুম্বামি করেন ২০ রান। মুতুমবোদজি ২ রানে, ডোনাল্ড তিরিপানো আউট হন ২০ রান করে। চার্ল মুম্বা করেন ২৫ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২০০ রান। শেষ মুহূর্তে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে তিনি করেন ৬২ রান। এছাড়া লিটন দাস করেন ৩৯ বলে ৫৯ রান। তামিম ইকবাল ৩৩ বলে করেন ৪১ রান। ৮ বলে ১৭ রান করেন মুশফিক ও ৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।