নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে মহসিন তালুকদার নামে এক লোক। তার বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মহসিন তালুকদার পলাতক।
সোমবার ( ১৬ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার শাহপুর তালুকদার পাড়ায় মহসিন তালুকদারের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব-৯ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা মহসিনের স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সম্প্রতি কালীপূজা উপলক্ষে কলকাতা গিয়ে এক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করায় সাকিবের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে কুপিয়ে-টুকরো করে হত্যার হুমকি দেন মহসিন। ভিডিওতে সাকিবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন তিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত মহসিন তালুকদারকে গ্রেফতারের জন্য এলাকার লোকজনের সহায়তা চেয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তার প্রদর্শিত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মধ্যরাতে অভিযানকালে টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ আহমদসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মহসিন মাদকাসক্ত। তিনি হেরোইন সেবন করেন। তার পরিবারের বাকি সবাই ভালো মানুষ। মাদকাসক্ত হয়ে তিনি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে এমন হুমকি দিয়েছেন। এজন্য আমরা এলাকাবাসী লজ্জিত। তাকে ধরিয়ে দিতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে রাম দা দেখিয়ে সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দেন মহসিন তালুকদার। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর ফেসবুকে এ হুমকি দেন তিনি। ‘Mohsin Talukdar‘ নামে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে তিনি ভিডিওটি প্রচার করেন।
এরপর রোববার ভোর ৬টা ৪ মিনিটে আবার একটি লাইভ ভিডিওতে হাজির হন মহসিন। তবে রাতের উত্তেজিত ভিডিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাকিব আল হাসানকে জাতির উদ্দেশে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, কারও চাপে এখন এ ভিডিওটি করছেন না, বরং সাকিবকে একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং তার মতো বাকি সব সেলিব্রেটিদের সঠিক পথে চলার বার্তা দিতে আবার লাইভ করছেন তিনি। পরের দিন সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় ওই আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, হত্যার হুমকি দেওয়া ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তার পরের ভিডিওটি এখনো রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ