স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে মাঠে নামার আগে পর্তুগাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় অ্যান্ডোরার বিপক্ষে, পৃথক ম্যাচে ডাচদের আতিথ্য নেয় স্পেন। পর্তুগাল অ্যান্ডোরার জালে এদিন গোল উৎসব করেছে, গুনে গুনে সাতবার বল পাঠিয়েছে তাদের জালে। এদিকে নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে।
ঘরের মাঠে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বিশ্রাম দেয় ফার্নান্দো সান্তোস। অবশ্য কেবল রোনালদো একাই নয়, সেই সঙ্গে জাও ফেলিক্স, ফার্নান্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজদের মতো তারকাদেরও বিশ্রাম দিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ। জুভেন্টাসের হয়ে শেষ ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পায়ে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়লে শঙ্কায় পড়ে তাঁর পর্তুগালের হয়ে খেলা। তবে শঙ্কা কাটিয়ে প্রথম ম্যাচের শেষ দিকেই তাকে মাঠে দেখা যায়।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় পর্তুগালকে প্রথম গোল এনে দেন পেড্রো নেটো, আর এই শুরুর পর পর্তুগাল থামে ম্যাচের ৮৮ মিনিয়ে গিয়ে। ২৯ মিনিটে পোলিনহো গোল করে ব্যবধানে ২-০ করে, আর প্রথমার্ধের ইতি ওই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাণ্ডব শুরু পর্তুগিজদের।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে রেনাটো সানচেজের গোলে ৩-০'তে এগিয়ে যায় পর্তুগাল এরপর একে একে গোল করেন পোলিনহো, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং জাও ফেলিক্স। ম্যাচের ৬১ মিনিটে পোলিনহোর দ্বিতীয় গোলে পর্তুগাল লিগ নেয় ৪-০'তে। তারপর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে এমিলি গার্সিয়ার আত্মঘাতি গোলে ৫-০'তে এগিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
তবে এখানেই থামেনি পর্তুগাল শেষ দিকে এসে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং ৮৮ মিনিটে জাও ফেলিক্সের গোলে ৭-০ গোলের ব্যবধানে বড় জয় পায় পর্তুগাল।
অন্যদিকে দুই হেভিওয়েট নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে যদিও স্প্যানিশরা এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল করে সমতায় ফেরে ডাচরা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আলভারো মোরাতার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে লা রোজাব্ল্যাঙ্কোদের এগিয়ে নেন সার্জিও ক্যানালাস। আর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭ মিনিটে ডনি ভ্যান ডি বিকের গোলে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। আর শেষ পর্যন্ত দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়।
যদিও এদিন নিজেদের সেরা একাদশ মাঠে নামাননি স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। অন্যদিকে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের বড় ইনজুরি সেই সঙ্গে এখনও ইনজুরি থেকে সেরে না ওঠায় ডি লিটকে মাঠের বাইরে রেখেই একাদশ সাজাতে হয় ডাচদের।
তবে এদিন আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস, ম্যানচেস্টার সিটির সেন্টার ব্যাক নাথান একে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন। এদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে এদিন জিয়ানুলাজি বুফনকে স্পর্শ করলেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোস। দুইজনই যথাক্রমে ইতালি ও স্পেনের হয়ে খেলেছেন ১৭৬টি ম্যাচ। আগামী উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে মাঠে নামলেও এককভাবে এই রেকর্ড নিজের দখলে নেবেন সার্জিও রামোস।
সান নিউজ/এসএম