ক্রীড়া ডেস্ক:
লিভারপুলের দাপটটা মূলত শুরু হয়েছিল গত মৌসুম থেকেই। প্রতি ম্যাচেই জয় আর নতুন নতুন রেকর্ড যেন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতছাড়া হয়। কিন্তু মর্যাদাকর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ঠিকই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় অল রেডসরা।
অপ্রতিরোধ্য পথচলায় এবার মৌসুমের শেষে এসে সেই লিভারপুলই হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেছে। হেরেছে শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই! মঙ্গলবার চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে অলরেডরা।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হেরে ইউরোপের রাজত্ব হারানোর শঙ্কায় পড়ে গেছে তারা। এরপর ওয়াটফোর্ডের কাছে ৩-০ গোলের হারে গুঁড়িয়ে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা। লিগে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ৪৪ ম্যাচে থমকে যাওয়ার পর এবার এফএ কাপ থেকে বিদায়ে ট্রেবল জয়ের স্বপ্নও শেষ সালাহদের।
চেলসির ডেরা স্ট্যামফোর্ডব্রিজে শুরুর একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনে কিছুটা খর্বশক্তির দল নামিয়েছিলেন লিভারপুল কোচ ক্লপ। অন্যদিকে সম্ভাব্য সেরা দলটিই খেলিয়েছেন চেলসি কোচ ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ড। সেটাই স্বাভাবিক। এ মৌসুমে শুধু এফএ কাপ জেতারই বাস্তব সম্ভাবনা আছে তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটে ল্যাম্পার্ডের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন তার শিষ্যরা।
ঘরের মাঠে গোলার মতো শটে ১৩ মিনিটে চেলসিকে এগিয়ে দেন উইলিয়ান। ৬৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রস বার্কলি। চেলসির আরও দুটি আক্রমণ পোস্টে প্রতিহত হয়। লিভারপুলও সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচে ফেরার। কিন্তু দারুণ তিনটি সেভে মানেদের হতাশায় ডোবান চেলসির শেষপ্রহরী কেপা।
একই দিনে জশুয়া কিমিচের দেয়া একমাত্র গোলে শালকেকে হারিয়ে জার্মান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এদিকে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে কাল মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল জুভেন্টাস ও এসি মিলানের। কিন্তু করোনাভাইরাস-আতঙ্কে শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছে ম্যাচটি।