স্পোর্টস ডেস্ক : সমীকরণটা সহজ ছিল, যে জিতবে তারাই পাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। কেননা দুই দলের অবস্থান ছিল সমান্তরালে, সমান ছয় ম্যাচ খেলে বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ছিল ১৫। ফলে মুখোমুখি লড়াইয়েই নির্ধারিত হলো টেবিলের শীর্ষস্থান। যেখানে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটাও হয়েছে জমজমাট। বরুশিয়ার মাঠে খেলতে গেলেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে বায়ার্ন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে গোল হয়েছে পাঁচটি। যেখানে তিন গোল করে বিজয়ীর হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অতিথিরা। প্রথমে গোল করেও ম্যাচ জিততে পারেনি স্বাগতিক বরুশিয়া।
শনিবার রাতে বরুশিয়ার ঘরের মাঠ ওয়েস্টফ্যালস্টেডিয়নে হওয়া ম্যাচটির আগে খেলা ছয় ম্যাচে মাত্র ২ গোল হজম করেছিল বরুশিয়া। বায়ার্নের মুখোমুখি হয়ে তারা এক ম্যাচেই হজম করল তিন গোল। আশা জাগিয়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি লুসিয়েন ফ্যাভরের শিষ্যরা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচটিতে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিট পর্যন্ত। মার্কো রেউসের গোলে প্রথম লিড নেয় বরুশিয়া। তবে বিরতির আগে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন বায়ার্নের ডেভিড আলাবা।
ফলে সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে মাত্র তিন মিনিটের মাথায়ই লিড নেয় বায়ার্ন। দারুণ এক হেডে চলতি আসরে নিজের ১১তম গোল করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। বায়ার্ন এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। তাদের শেষ গোলটি হয় ৮০ মিনিটে, স্কোরশিটে নাম তোলেন লেরয় সানে।
বায়ার্নের তৃতীয় গোলের তিন মিনিট পর ব্যবধান কমান বরুশিয়ার তরুণ তারকা আর্লিং হালান্ড। তবে এটি যথেষ্ঠ হয়নি। পুরো ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও ২-৩ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
এ পরাজয়ের ফলে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে বরুশিয়া। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৫। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে বায়ার্ন। তাদের মাঝে থাকা লাইপজিগের সংগ্রহ ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট।
সান নিউজ/এসএম