স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএল থেকে এবারও খালি হাতে ফিরতে হলো বিরাট কোহলিকে। এলিমিনেটর ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের শুরুতে দারুণ ক্রিকেট খেলা বেঙ্গালুরুর বিদায় নিল এলিমিনেটরে এসে। অপর দিকে খুঁড়িয়ে এগুনো হায়দ্রাবাদ উঠে গেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
একদিন পর মাঠে গড়াবে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি। সেখানে হায়দ্রাবাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা হবে ফাইনালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিপক্ষ। অপর দল বিদায়।
বিরাট কোহলিকে দুর্ভাগাই বলতে হবে! কয়েক বছর ধরেই তাকে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার ভাবা হচ্ছে। আইপিএলেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তার। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি তার। কোহলি ১৩টি আইপিএলই খেলেছেন বেঙ্গালুরুর হয়ে। শিরোপা তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত আইপিএলের ফাইনালেও পৌছুতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি!
অবশ্য এবারের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল তাতে মনে হচ্ছিল আক্ষেপ হয়তো এবার ঘুচবে কোহলির। প্রথম দশ ম্যাচের সাতটিতেই যে জিতেছিল বেঙ্গালুরু। তারপর দলটির ব্যাটসম্যানদের কী হলো কে জানে! আজ এলিমিনেটরেও ব্যাটিংটাই ডুবাল বেঙ্গালুরুকে।
হারলেই বিদায়, এমন সমীকরণে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। অধিনায়ক কোহলি আজ বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেনিং করতে নামেন। অপর ওপেনার দেভদুত পাদিক্কালের (১) সঙ্গে কোহলি (৬) নিজেও সফল হতে ব্যর্থ। এরপর তৃতীয় উইকেটে বেশ শক্ত একটা জুটি গড়েছেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার অ্যারন ফিঞ্চ ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই দুজনই যা একটু লড়তে পেরেছেন।
৩০ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ৩২ রান করে ফিরেছেন ফিঞ্চ। তারপরই উইকেটবৃষ্টির শুরু। এক প্রান্তে ডি ভিলিয়ার্স দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে যাওয়া আসার মিছিলেন নামেন বেঙ্গালুরুর অন্য ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তোলে দলটি। ডি ভিলিয়ার্স ৪৩ বলে ৬ চারে করেছেন ৫৬ রান। হায়দ্রাবাদের হয়ে জেসন হোল্ডার ২৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।
১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদের শুরুটাও ভালো হয়নি। দুই রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানো দলটি তৃতীয় উইকেট হারায় ৫৫ রানে। এরপরই ব্যাট হাতে চাপে পিষ্ট না হয়ে ঘুড়ে দাঁড়ানোর মন্ত্র পড়ে গেলেন কেন উইলিয়ামস।
রানের সঙ্গে বলের ব্যবধান বেশি ছিল না। ফলে আস্তে ধীরেই এগিয়েছেন। তবে কিউই তারকা উইকেট আগলে রেখেছিলেন শেষ অবদি। জেসন হোল্ডার ও মানিশ পান্ডে কার্যকারী দুটি ইনিংস খেলতে পারলেন সেই কারনেই। ১৯.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩২ রান তোলে হায়দ্রাবাদ। উইলিয়ামসন চারে নেমে ৪৪ বল খেলে ২টি করে চার ছয়ে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। হোল্ডার ২০ বলে করেছেন ২৪ রান। পান্ডে ২১ বলে ২৪। বেঙ্গালুরুর হয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ।
সান নিউজ/এসএম