জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেট জুটি। তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯৮ রান। ঠিক সে সময় ডোনাল্ড তিরিপানো আর টিনোটেন্ডা ৭৬ বলে ৮০ রানের দুর্ধর্ষ জুটি গড়লেন জয়ের দার প্রান্তে নিয়ে যায় জিম্বাবুয়েকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তখন বাংলাদেশের হারের শঙ্কা। এই বুঝি জিতে গেল জিম্বাবুয়ে। শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেনের ওপর চড়াও হয় এই দুই ব্যাটসম্যান। মাত্র ২৮ বলে ৫৫ রান করে জিম্বাবুয়েকে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই নিয়ে গিয়েছিলেন তিরিপানো। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই জিতেছে।
মাত্র ৪ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে একম্যাচ হাতে রেখেই সিইরিজ জিতলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৩২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভার সংগ্রহ করেছে ৩১৮ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করে ৩২২ রান। আনেকদিন পর সেঞ্চুরি করলেন তামিম ইকবাল। ভাঙলেন বাংলাদেশর হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের নিজের রেকর্ড। ১৫৮ রান করে আউট হন তিনি। মুশফিক করে ৫৫ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ রানে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ২২৫ রানে জিম্বাবুয়ে হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। এর পর শুরু হয় টিরিপানোর তান্ডব।
২৮ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন টিরিপানো। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৩১৮ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২২/৮ (তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, মিঠুন ৩২*) মুম্বা ১০-০-৬৪-২, টিরিপানো ৮-০-৫৫-২,
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ৩১৮/৮ (কামুনহুকামউই ৫১, মাধেভেরে ৫২, রাজা ৬৬, মাটুমবোদজি ৩৪, টিরিপানো ৫৫*) তাইজুল ১০-০-৫২-৩, মাশরাফি ১০-০-৫২-১