ক্রীড়া ডেস্ক:
নিজেদের মাটিতে একেবারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ভারত। উড়তে থাকা ভারত নিউজিল্যান্ড সফলে গিয়েও ছিল ধারা ছোয়ার বাইরে। সফরের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু এরপর মাটিতে নেমে আসতেও সময় লাগেনি তাদের। প্রতিরোধহীন ভারত ওয়ানডের পর হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টেস্ট সিরিজেও।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের পরাজিত করা কোন দলের কাছেই সহজ কাজ নয়। তবুও সফরকারী দলটি ভারত বলেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যাশা ছিল ক্রিকেট প্রেমিদের। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে রাংকিংয়ের এক নম্বর দল ভারত পূরণ করতে পারেনি সেই প্রত্যাশার ছিটেফোটাও। শূণ্য হাতে আত্মসমর্পণ করে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে হার নিশ্চিত দেখে ভারত অধিনায়ক যেন বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
খেলায় শেষ সময়ে একপর্যায়ে পাড়ার ক্ষুদে কিশোরদের মতো আচরণ করেন কোহলি। অনেকটা আমাদের দেশের পাড়া-মহল্লার খুদে খেলোয়াড়দের মতো মন্তব্য করে বসেন। অন্যের এলাকায় গিয়ে ভালো খেলতে না পারলে যেমন কিশোররা বলে, ‘আমার এলাকায় আসিস, কত খেলা পারিস দেখে নেব তোকে!’ ঠিক তেমনি নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে কোহলি বলেন ইন্ডিয়ায় খেলতে আসলে দেখে নেবেন তাদের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিনে জিততে ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের এ ইনিংসে বেশির ভাগ সময়ই স্লিপে ফিল্ডিং করেছেন কোহলি। ফিল্ডিংয়ের একপর্যায়ে সতীর্থদের উদ্দেশে চিৎকার করে কোহলি বলেন, ‘জাব ইন্ডিয়া মে ইয়ে লোগ আয়েঙ্গে, তাব দিখা দুঙ্গা (ভারতে এলে ওদের দেখিয়ে দেব)।’
এখানেই শেষ নয়। পুরো নিউজিল্যান্ড সফরজুড়েই বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হয়েছেন বিরাট কোহলি। কেন উইলিয়ামসনের আউটের পর দৃষ্টিকটু উদযাপন যা ভারতীয় সমর্থকদের কাছেও সমালোচিত হয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
এসবের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ড সফরে সব ফরম্যাটে কোহলির ১১টি ইনিংস থেকে এসেছে ২১৮ রান। এর মধ্যে কোনও অর্ধশতক পর্যন্ত নেই।
উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজের আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডেতে সিরিজেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে ভারত।