স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নিজেদের দেশে ক্রিকেট ফেরানোর মিশনে এখনও শতভাগ সফল হতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিয়মিত ভিত্তিতে এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য যথেষ্ঠ স্বাভাবিক হয়নি পাকিস্তানের পরিস্থিতি।
তবু এর মধ্যেই গত বছর পাঁচেক ধরে নিজেদের ঘরের মাঠে এক-দুইটি করে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করে চলেছে পিসিবি। যার সবশেষটি চলছে এখন। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফরে রয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে হয়ে গেছে দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ।
বছরের শুরুতে দুই দফায় পাকিস্তান সফর করে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও একটি টেস্ট খেলে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এপ্রিলে তৃতীয় দফার সফরে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে সেই টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ।
তবে সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশ দল পূর্ণশক্তির দল নিয়ে পাকিস্তান সফর করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পিসিবি। এর আগে গতবছর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এছাড়া চলতি সফরের আগেও পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর লক্ষ্যে দেশটিতে সফর করেছিল জিম্বাবুয়ে দল।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান তাভেঙ্গা মুকুলানিকে পাশে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনি। যেখানে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের উন্নতির কথাও তুলেছেন পিসিবি বস।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন আসে পাকিস্তানের মাঠে পরবর্তী খেলার ব্যাপারে। উত্তর এহসান মানি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের একটি ক্লাব সংক্ষিপ্ত সফরে আসতে পারে। তবে তাদের মূল দল নয়। সেটি শ্রীলংকা যাবে। তবে দেশ হিসেবে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো এমসিসির মতো ক্লাবগুলোর সফর।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘২০২০-২১ মৌসুমে আমাদের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া আসবে, পরে ইংল্যান্ড। তাই এসব সংক্ষিপ্ত সফরের মাধ্যমে যে বার্তাটা যায়, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের ব্যবস্থাপনায় খুশি ছিল। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট ছিল।’
সান নিউজ/এম