স্পোর্টস ডেস্ক : সুযোগ পেয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আবুধাবিতে, আর বিস্ফোরণ ঘটালেন দুবাইয়ে। ঋদ্ধিমান সাহা বুঝিয়ে দিলেন, বেঞ্চে বসিয়ে রেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কী ভুল করেছে! এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ওপেনিংয়ে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস বোলারদের নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই খেললেন। খোলস ভেঙে ডেভিড ওয়ার্নারও যোগ হাজির হলেন বিধ্বংসী রূপে। যে দিল্লির পেস আক্রমণ ভীতি ছড়িয়ে আসছে গোটা আইপিএলে, তাদের বিপক্ষেই সাহা-ওয়ার্নার মিলে ৬ ওভারে নিলেন ৭৭ রান!
দুর্দান্ত সেই শুরু কাজে লাগিয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করে ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ। সাহা ৪৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৮৭ রানের টর্নেডো ইনিংস। সমান তালে লড়ে ওয়ার্নার ৩৪ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। কঠিন লক্ষ্যের সামনে শুরুতেই খেই হারানো দিল্লি ১৯ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গিয়ে হেরেছে ৮৮ রানে।
এই জয়ে হায়দরাবাদ টিকে থাকলো আইপিএলে। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তারা পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। অন্যদিকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি তৃতীয় স্থানে।
মঙ্গলবার রাতে দুবাই স্টেডিয়ামে ওয়ার্নার-সাহা যেভাবে মারতে চেয়েছেন, বলে সেভাবেই লেগেছে ব্যাট। যেহেতু হারলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে, তাই শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। জয়ের ভিতটা গড়ে ফেলে তারা উদ্বোধনী জুটিতেই। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ৯.৪ ওভারে ওপেনিং জুটি থেকে হায়দরাবাদ পায় ১০৭ রান।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ওয়ার্নার প্যাভিলিয়নে ফিরলেও সাহার ব্যাট থামেনি। ফিফটির পর সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তবে ১১ রান দূরে থাকতে তাকে থামান আনরিখ নর্কিয়া। ৮৭ রান করে শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন সাহা।
ওয়ান ডাউনে নেমে মনিশ পান্ডে আবারও আলো ছড়িয়েছেন। ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। কেন উইলিয়ামসন ১০ বলে অপরাজিত থাকেন ১১ রানে।
হায়দরাবাদ ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবের দিনে নর্কিয়া ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। অন্য উইকেটটি পাওয়া অশ্বিন ৩ ওভারে খরচ করেছেন ৩৫ রান। তবে দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৪ রান!
২২০ রানের কঠিন লক্ষ্যে শুরুতেই দিল্লি হারায় শিখর ধাওয়ানের (০) উইকেট। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন মার্কাস স্টোইনিস (৫) ও শিমরন হেটমায়ার (১৬)। তাদের বিদায়ের পর আজিঙ্কা রাহানেও (২৬) প্যাভিলিয়নে ফিরলে ৫৫ রানে ৫ উইকেট নেই দিল্লির। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও (৭) পারেননি কিছু করতে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন ঋষভ পান্ত।
রশিদ খানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত দিল্লি। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা ও টি নাটারঞ্জন।
সান নিউজ/এসএম