ক্রীড়া প্রতিবেদক:
চ্যাম্পিয়ান্স লিগের নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করে রেকর্ড গড়লেন ড্রিস মের্টেন্স। তার এই রেকর্ড ছোঁয়া গোলে হারতে বসেছিল বার্সেলোনা। নাপোলির জমাট রক্ষণ ভাঙা যাচ্ছিল না কোনোমতে। শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পেলেন আতোয়ান গ্রিজমান। নাপোলির মাঠে হার এড়াতে পারল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল নাপোলি। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা।
এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ এসি মিলানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। তারপর থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট খেলতে ইতালিতে গিয়ে ৬ ম্যাচ জয়হীন থাকলো দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ১৮ মার্চ ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি লেগে নাপোলিকে স্বাগত জানাবে বার্সেলোনা।
এইবারের বিপক্ষে চার গোল করা লিওনেল মেসিকে বোতলবন্দী রাখায় পুরোপুরি সফল নাপোলির রক্ষণভাগ। প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ৯ মিনিটে। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাসে বক্সের প্রান্তে বল পেয়ে চাপের মুখে শট নেন, বল চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে।
মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিতে প্রায় পুরোটা সময় ধরেই জমাট রক্ষণ রেখে খেলেছে নাপোলি। তবে প্রতি আক্রমণে উঠে বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের কঠিন সময় উপহার দিতে কোনো ভুল করেনি স্বাগতিকরা।
যার ফল তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময়। বার্সা ডিফেন্ডার জুনিয়র ফিরপোর ভুলে বল পেয়ে যান পিটার জিলিনিস্কি। তিনি সময় নষ্ট না করে পাস বাড়িয়ে দেন ড্রাইস মার্টিনসের উদ্দেশ্যে। বুলেট গতির শটে টের স্টেগানকে পরাস্ত করেন মার্টিনস। একইসঙ্গে উঠে যান নাপোলির হয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকার শীর্ষে। তার সমান ১২১ গোল রয়েছে মারেক হামসিকেরও।
লিড থাকায় রক্ষণাত্মক ফুটবলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় নাপোলি। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ১০ খেলোয়াড় মিলে শুরু করেন ডিফেন্ডিং। যার ফলে আবার মাঝমাঠে জায়গা পেয়ে বার্সেলোনা। এ সুযোগটিই কাজে লাগায় সেতিয়েনের শিষ্যরা।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজেদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়ার মাধ্যমে নেলসন সেমেডুর উদ্দেশ্যে বুদ্ধিদীপ্ত পাস এগিয়ে দেন সার্জিও বুসকেটস। পরে সেমেডুর নিচু করে বাড়িয়ে দেয়া ক্রসে সহজেই বাকি কাজ সারেন গ্রিজম্যান। এ গোলের সুবাদেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।