ক্রীড়া প্রতিবেদক : করোনার পর মাঠে ফিরেই দুর্দান্ত ভাবে পারর্ফম করে চলছেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের ফাইনালে সব আলো ছিলো তার ওপর। কিন্তু সুমন খান কেড়ে নিলেন সব আলো, মাহমুদউল্লাহ একাদশের এই পেসার আগুনে বোলিংয়ে নিলেন ৫ উইকেট। তাতে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে পুড়ে ছাই নাজমুল একাদশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নাজমুলরা অলআউট ১৭৩ রানে। সুমন খান একাই নেন ৫ উইকেট। এদিন রুবেলও হতাশ করেননি। ডানহাতি এ পেসার উইকেট নিয়েছেন দুটি। এছাড়া ইবাদত, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
নাজমুলদের ইনিংস তিন অঙ্ক ছুঁতে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ইরফান শুক্কুরের। ইনিংসের প্রায় অর্ধেক রানই এসেছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান করেন ৭৫ রান। বাকি ৯ ব্যাটসম্যান করেন ৯৮। ৭৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ইরফান তার ইনিংসটি সাজান।
৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান জুটি গড়েন। ৮২ বলে ৭০ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তারা। হৃদয় ২৬ রানে ফিরলে একা হয়ে পড়েন ইরফান। শেষ দিকে আগ্রাসন দেখিয়ে একাই রান তোলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত তার উইকেটটি নেন রুবেল। ডানহাতি পেসারকে উড়াতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন ইরফান।
এর আগে নাজমুল একাদশের টপ অর্ডারে সবাই ছিলেন ব্যর্থতার মিছিলে। সাইফ হাসান (৪), সৌম্য সরকার (৫), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩২), মুশফিকুর রহিম (১২) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (০) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন।
চার ম্যাচে তিনটি জিতে ফাইনালে উঠেছে নাজমুল একাদশ। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ একাদশ চার ম্যাচে দুটি জিতে উঠে ফাইনালে। লিগ পর্বে দুইবার নাজমুল একাদশের বিপক্ষে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ। লক্ষ্য মাত্র ১৭৪। পারবেন তো মাহমুদউল্লাহরা!
সান নিউজ/এম