ক্রীড়া প্রতিবেদক:
দেশের মাটিতে এ যেন অন্য এক বাংলাদেশ। এইতো কদিন আগেও পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে নাকানি চুবানি খেলো যে ব্যাটসম্যানরা, তারাই কি খেলছে আজ? এমনটাই হয়তো ভাবছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। হঠাৎ করে খেলা দেখতে বসলে যে কেউই অবাক হয়ে যেতে পারেন স্কোর বোর্ড দেখে!
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সফরের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪০০ রান। ১৩৫ রানের লিড পেয়েছে টাইগাররা। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। মুশফিক অপরাজিত আছেন ১২৮ রানে।
জিম্বাবুয়ের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই জুটি। মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীমের ধৈর্যে কিছুতেই বাঁধ দিতে পারছিলেন না সফরকারি বোলাররা। ৬০.৪ ওভারের এই ম্যারাথন জুটিটি শেষতক ভাঙলো। এনলুভোকে তুলে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ হয়ে ফিরলেন মুমিনুল হক। ২৩৪ বল মোকাবেলায় বাংলাদেশ অধিনায়ক তার ১৩২ রানের ঝকঝকে ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন ১৪ বাউন্ডারিতে।
মুমিনুলের এই আউটেই ভেঙেছে ২২২ রানের জুটি। তবে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা দশ জুটির মধ্যে ঢুকে পড়েছেন মুমিনুল-মুশফিক। এটি এখন যে কোনো উইকেটে দেশের নবম সেরা জুটি।
এর আগে ৯৯ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন লাঞ্চের বিরতিতে। ৪০ মিনিটের বিরতি কাটিয়ে ফেরার পরও সেঞ্চুরির জন্য তাড়া দেখালেন না বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ। দেখেশুনে খেললেন আরও ৬টি বল। অবশেষে বাউন্ডারিতেই সেঞ্চুরি পূরণ মুশফিকের। সব মিলিয়ে এক রান নিতে অপেক্ষা করলেন ৮ বল। সময়ের হিসেবে যেটি আবার প্রায় এক ঘন্টা।
টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যই সব, মুশফিক আরও একবার দেখিয়ে দিলেন। ধৈর্যর সর্বোচ্চ পরীক্ষা দিয়ে ১৬০ বলে তুলে নিলেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি।
২০১৮ সালের ১১-১৫ নভেম্বর এই মিরপুরেই রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সেই রেকর্ড জুটিটি এই মুমিনুল-মুশফিকের হাত ধরেই এসেছিল। প্রতিপক্ষও ছিল এই জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ উইকেটে ২৬৬ রানের সেই জুটিটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে চতুর্থ উইকেটের সর্বোচ্চ।