ক্রীড়া ডেস্ক : এক সপ্তাহ আগেই করোনা পজিটিভ হয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেলফ আইসোলেশনে থাকার পর বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় পরীক্ষা করিয়েছেন। কিন্তু এবারও রিপোর্ট পজিটিভ।
ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির সঙ্গে রোনালদোর দ্বৈরথ দেখার স্বাদ এবার অন্তত পাওয়া হচ্ছে না ফুটবলপ্রেমীদের।
বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'মার্কা' এমনটাই জানিয়েছে। এর আগে সুইডেনের বিপক্ষে নেশনস কাপে ৩-০ গোলে জয়ের পরপরই পর্তুগিজ উইঙ্গারের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
উয়েফার করোনা প্রটোকল অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামার এক সপ্তাহ আগেই করোনা নেগেটিভ হতে হবে। কিন্তু রোনালদো তা পারলেন না। যদিও করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নিজ দেশে সিআর সেভেনের আইসোলেশনে থাকার কথা। তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইতালিতে ফিরেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। নিয়ম ভেঙে তুরিনে ফিরে আসায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন রোনালদো।
৩৫ বছর বয়সী তারকার বিরুদ্ধে ইতালির স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনেছেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ভিনচেঞ্জো স্পাদাফোরা। তবে রোনালদো জানিয়েছেন, ব্যাপারটি সত্য নয়। তার ক্লাব জুভেন্টাসও নিশ্চিত করেছে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তুরিনে ফিরেছেন রোনালদো।
ইতালির এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর ইতালিতে ফিরেছেন রোনালদো। রোনালদো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দাবি করেছেন, তিনি নিয়ম ভঙ্গ করেননি। কিন্তু ইতালির ক্রীড়ামন্ত্রী তার দাবি থেকে সরেননি। এখন তো দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও ফলাফল একই এলো।
আগামী ২৮ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। ধারণা করা হচ্ছিল, এই ম্যাচে দীর্ঘদিন পর মেসি বনাম রোনালদো দ্বৈরথ দেখা যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় সে আশা ভেস্তে গেল। তবে সুযোগ এখনও শেষ হয়নি। গ্রুপের ষষ্ঠ ম্যাচে আবারও দুই দল মুখোমুখি হবে।
মেসি ও রোনালদো এর আগে কখনোই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হননি। তবে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমের নকআউট পর্বে দেখা হয়েছে তাদের। ২০০৭/০৮ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে সেবার জয়ের স্বাদ পান রোনালদো। পরেরবার অবশ্য মেসির বার্সার কাছে হার মানে ইংলিশ জায়ান্টরা। ২০১০/১১ মৌসুমের সেমিফাইনালের দেখায় রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেয় মেসিবাহিনী।
সান নিউজ/এম/এস