স্পোর্টস ডেস্ক : কথায় বলে ‘বাজাতে বাজাতে বায়েন আর গাইতে গাইতে গায়েন ।’ বহুল প্রচলিত প্রবচনটির সত্যিকার ও মূল কথা হলো ‘চর্চা।’ চর্চাই মান উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। যারা খেলোয়াড়, তারা যত বেশি খেলবেন, ততই অভিজ্ঞতা হবে। কৌশল প্রয়োগের চর্চাই মেধাই কার্যকর ভূমিকা রাখে।
যুব বিশ্বকাপজয়ী আকবর আলী, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হ্রদয়, পারভেজ ইমন, শরিফুল ও রাকিবুল ইসলামরা বিশ্বকাপ খেলার আগে দেশে ও বিদেশে প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন। দেশ ও বিদেশে ৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল আকবর আলীর দল। ঐ বিভিন্ন দলের সাথে নানা কন্ডিশনে খেলা তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে করেছিল সমৃদ্ধ। তারা অনুকূল-প্রতিকূল সব অবস্থায় অভ্যস্ত ও ধাতস্ত হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে বিশ্বকাপের মত বিশ্ব আসরে খেলতে নেমেও ভড়কে যাননি। ডর-ভয় স্পর্শ করেনি। নিজেদের স্বাভাবিক পারফরম্যান্স করতে পেরেছেন। দেখতে দেখতে আবার এসে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপ।
আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে বিশ্ব যুব ক্রিকেটের পরের আসর। তার আগেও জুনিয়র টাইগারদের যত বেশি করে সম্ভব আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে বিসিবি।করোনা না থাকলে হয়তো এরই মধ্যে দেশ আর বিদেশ মিলে একাধিক সিরিজ খেলে ফেলতেন জুনিয়র টাইগাররা। তবে ভেতরের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি ইংল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ যুবদল (অনূর্ধ্ব-১৯)।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে জানিয়েছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এবারও যুবাদের দেশে ও বিদেশে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।’ ‘তারই প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী বছর জাতীয় যুব (অনূর্ধ্ব-১৯) দলকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জুলাই-আগস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে একটি তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে যুব দল। যে আসরে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার যুব দল অংশ নেবে’-যোগ করেন সুজন।
সান নিউজ/পিডিকে/এস