নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান আলোর দুর্নীতিতে ডুবতে বসা দক্ষিণাঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গণকে বাঁচানোর দাবীতে মাঠে নেমেছে ক্রিকেটাররা। সোমবার (১৯ অক্টোবর) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের ক্রিকেটারদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই দাবী জানানো হয়।
জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার আমিনুল হক মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বেসিক ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান কোচ এজাজ-আল মাহমুদ সুজন, ক্রিকেটার মাঞ্জারুল ইসলাম, মঈন খান প্রমূখ।
বক্তারা দাবী করেন, দীর্ঘদিন ধরে বরিশালে প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ এবং প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ হচ্ছে না। এ কারনে খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খেলোয়াররা। খেলা না থাকায় দক্ষতা উন্নয়ন হচ্ছ না। বরিশাল থেকে তৈরী হচ্ছে না জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়ার। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করেন সাবেক খেলোয়ার ও সংগঠকরা।
জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে বরিশাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলা হয় না। প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের খেলা হয়েছে সব শেষ ২০১৮ সালে। নিয়মিত খেলাধুলা না থাকায় ১৯৬৩ সালে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ২৯ একর জায়গায় নির্মিত ২৫ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বরিশাল জেলা স্টেডিয়ামে বিরাজ করছে সুনশান নিরবতা। এমতাবস্থায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচাতে হলে বরিশালে খেলার আয়োজন করতে হবে বলেও মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রসঙ্গত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান আলো দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকলেও বিগত ৬ বছরে ধরে নিয়মিত খেলার অয়োজন বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার তদন্ত করছেন। আলোর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দাখিল করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ক্রিকেট বোর্ড থেকে জেলার খেলোয়ারদের জন্য বরাদ্দের টাকা মাঠে ব্যয় না করে তিনি নিজের উন্নয়নে ব্যয় করছেন। বিত তিন বছর তিনি খেলা চালুর নামে লাখ লাখ টাকার ফান্ড এনেছেন। কিন্তু কোন খেলাই হয়নি। তিনি হেড কোচ থেকে শুরু করে টিম বয়দের সম্মানী ভাতা আত্মসাত করছেন। পাশাপাশি নিয়ম-কানুন না মেনে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের কাছে কাউন্সিলরশীপ বিক্রি করে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি যাদের কাছে কাউন্সিলরশীপ বিক্রি করছেন তারা ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব নন।
বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আলোর বিরুদ্ধে আবেদনের পরই আজ মানববন্ধন করে খেলা চালুর দাবী জানালো বরিশালের খেলোয়াররা। এ বিষয়ে আলমগীর খান আলো কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, বরিশালে ছোট-বড় ৬টি ক্রিকেট ক্লাব রয়েছে। এসব ক্লাবে মোট খেলোয়ার সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
সান নিউজ/এমএইচ/এস